লিভার পরিষ্কার রাখতে খাবেন কোন ৭ খাবার

লাইফস্টাইল

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। বিশেষ করে নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত ও তৈলাক্ত খাবার খেলে, মদ্যপান করলে লিভারে ফ্যাট জমে। এতে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে লিভার টক্সিন মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। এজন্য প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলেই উপকার পাবেন। যেমন-

শাকপাতা
শাকের মধ্যে থাকা ক্লোরোফিল পিত্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে বর্জ্য বের করতে এবং ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে কোনও শাক রাখুন।

রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম উপাদান লিভারকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খেলেই লিভার ফ্যাট ফ্রি থাকবে।

হলুদ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে,  হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামে এক ধরনের যৌগ দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কাজ করে। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে দেয় এবং লিভারের প্রদাহ কমায়।

আপেল
একাধিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে আপেল। এই ফলের মধ্যে পেকটিন নামের ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। লিভার ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রোজ একটা করে আপেল খান।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি খেলেই ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেবুজাতীয় ফল
যে কোনও ধরনের লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদান লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

কপিজাতীয় সবজি
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি কিংবা ব্রকোলি— এই জাতীয় সবজিতে গ্লুকোসিনোলেট্‌স নামক একটি এনজাইম থাকে যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *