সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির সম্পদ না, দেশের সম্পদ। তার দিকে লুক আফটার করা আমাদের দায়িত্ব বলে মন্তব্যে করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এই সিরিজের মাঝখানে নিয়ে আলাপ করতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু যেহেতু আপনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমি বলছি। পুরো ব্যাপারটা কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখিছি, শুনেছি। যে ঘটনাটা ঘটেছে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে। যখন নাকি একদিনের ব্যবধানে এটা হয়েছে। ’
‘একটা সিরিজ শেষ হলো, আরেকটা সিরিজ যখন শুরু হলো; তখন শুরু হয়েছে। যা কিছু ঘটেছে, আমরা যা কিছু দেখেছি, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন আছেন তাদের জিজ্ঞেস করার। এটা সিরিজ শেষ হোক, অবশ্যই এই ব্যাপারে আমরা জানতে চাইবো। কী ঘটনা ঘটেছে, কী না ঘটেছে, কার ইনভলভমেন্ট কী, এগুলো আমাদের ব্যাপার না। আমরা বোর্ড থেকে দেখবো আমরা কতটুকু এখানে কনসার্ন। সে ব্যাপারটাই বেশি গুরুত্ব দেবো। ’
সাকিব কেন্দ্রিয় চুক্তিতে আছেন। তিনি বিসিবির কাছে দায়বদ্ধও। তাদের জানিয়েই সাকিবের যাওয়ার কথা এমন অনুষ্ঠানে। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলছেন, তিনি জানেন না, জানতো না তার বিভাগও। দুই সিরিজের মাঝখানের একদিনের ছুটি কাজে লাগিয়েছেন, এমন দাবি জালাল ইউনুসের।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশন্স জানে না ব্যাপারটা। জেনারেলি সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটি ছিল। দুটা সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে এভেইল করেছে, ব্রেকটা এভেইল করেছে। জানা ছিল ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে এটা আমরা জানতাম। কোথায় গেছে কী করেছে, বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট ছিল কি না এটা আমরা পরে জোনতে পেরেছি। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই দেখবো। কিন্তু সিরিজের মাঝে আলাপ করতে চাচ্ছি না। ’
প্রসঙ্গ, সাকিব আল হাসান আলোচনায় থাকেন নিয়মিতই। কখনো ভালো পারফরম্যান্স করে, কখনো আবার বিতর্কিত কিছু করে।
গত কয়েকদিন সাকিব আলোচনায় আরাভ জুয়েলার্স ইস্যুতে। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পরদিনই দুবাইয়ে যান জুয়েলার্স উদ্বোধন করার জন্য। পরে জানা যায়, তিনি যে জুয়েলার্স শপ উদ্বোধন করতে গেছেন; তার মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খুনের মামলার আসামী। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়।
শেয়ার করুন