বিপিএলের নবম আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে টানা দুই জয় তুলে নিয়ে উড়তে থাকা সিলেটের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয়ের খোঁজে মাঠে নেমেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় শক্তির বিবেচনায় এবারের বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরয়ান্স হট ফেভারিট। তবে বিপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৩৪ রানে হেরেছে কুমিল্লা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও খুব বড় স্কোর গড়তে পারেনি কুমিল্লা।
আগে ব্যাটিং করে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন জাকের আলি। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে কুমিল্লা। অর্থাৎ মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জিততে হলে করতে হবে ১৫০।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে কুমিল্লা। দারুণ শুরু করেন লিটন দাস। প্রথম তিন বলেই হাঁকান দুটি বাউন্ডারি। তবে থিসারা পেরেরার করা প্রথম ওভারটির চতুর্থ বলেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন (৪ বলে ৮)।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ তিন বলে মাশরাফিকে টানা তিন চার মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন সৈকত আলিও। কিন্তু ইমাদ ওয়াসিম তাকে ভয়ংকর হতে দেননি। ১২ বলে ২০ করে বোল্ড হন সৈকত।
পরের ওভারে মোহাম্মদ আমির তুলে নেন অধিনায়ক ইমরুলকে (২)। বিপদে পড়ে কুমিল্লা। জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে ধরে খেলতে থাকেন মালান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তার ইনিংসটির চেহারা ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ হয়নি। ১৪তম ওভারে এসে ৩৯ বলে ৩৭ করে পেরেরার শিকার হন মালান।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ৫ করে আমিরের আর শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে মোহাম্মদ নাবি মাশরাফির শিকার হন। তবে শেষ পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি। ৪৩ বলে গড়া তার ইনিংসটিতে ছিল ২টি চার আর ৩টি ছক্কার মার।
আমির ৪ ওভারে ২২ আর পেরেরা ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাশরাফি দেন ৩২ রান।
শেয়ার করুন