তীব্র তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে এপ্রিলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে পারে মে মাসেও। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশিও হতে পারে।
এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি লঘুচাপের সঙ্গে সৃষ্টি হতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়ও।এছাড়া মে মাসে রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান জানান, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মে মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মোচা’। এটি ইয়েমেনের দেয়া।
‘পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী ৯ মে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি ১১ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটির গতিপথ কী হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের উপকূল দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে।’
এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকতে পারে জানিয়ে আজিজুর রহমান বলেন, এ মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা) একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং দেশের অন্যত্র ১ থেকে ২টি মৃদু (তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরণের তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শেয়ার করুন