সিলেটে কোরবানির পশু হাটে ক্রেতা কম, দাম চড়া

সিলেট

আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে পশুর হাটে। পছন্দসই কোরবানির পশু কিনতে হাটে হাটে ঘুরছেন ক্রেতারা। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশুর হাটে ক্রেতাসমাগম খুব কমই চোখে পড়েছে।

এদিকে পশুর হাটে ক্রেতা কম থাকলেও কোরবানির পশুর দাম কিন্তু এবার অনেক চড়া। এমন চিত্রই ধরা পড়েছে সিলেটের কোরবানি হাটগুলোতে। অনেক ক্রেতাই মনে করছেন, শেষের দিকে হয়তো বিক্রেতারা দাম কমাতে পারেন।

সিলেট মহানগরীতে প্রধান পশুহাট কাজীরবাজারসহ অস্থায়ী বেশ কয়েকটি হাট বসেছে এ বছর। কিন্তু সবগুলো পশুর হাটেই ক্রেতাসমাগম খুব কম চোখে পড়েছে। তবে কোরবানি পশুর মূল্য রয়েছে চড়া।
রেজাউল করিম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরীর প্রধান কাজীরবাজার এবং অস্থায়ী মেজরটিলা হাট ও টুকেরবাজারে বিভিন্ন জাতের পশু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি দামও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, শহরসহ আশপাশের অস্থায়ী হাটগুলোতে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে দামদর করে আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে। পরে জৈন্তাপুর উপজেলার চিকানাগুল বাজার থেকে ৯২ হাজার টাকা দিয়ে একটি কোরবানির পশু কিনেছি।

এদিকে সিলেট নগরীর কাজীরবাজারে ১১টি গরু নিয়ে আসা পাইকার নুরুল আলম বলেন, বন্যার কারণে পশু রাখার স্থানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। খামারি থেকে শুরু করে কৃষকরা গরুর খাবার সংগ্রহ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন। ভুসি এবং খৈলের দামও বেশি। কাজীরবাজার ছাড়াও সিলেট সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী ৬টি হাটসহ জেলায় এবার বসেছে ৫১টি পশুর হাট।

ক্রেতারা মনে করেছিলেন বন্যার কারণে গরু, ছাগলের দাম কম হবে। কিন্তু তাদের সে ধারণা এবার ঠিক হয়নি। গত বছর যে পশু ৬০ হাজার টাকায় কেনা সম্ভব ছিল, তা এ বছর ৮০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবার সিলেটে কম পশু আসায় স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা বড় দাম হাঁকছেন। টুকেরবাজার পশুহাটে স্থানীয় জাতের অনেক গরু-ছাগল দেখা গেছে। কিন্তু হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।

স্থানীয় ইজারাদার পক্ষের স্বেচ্ছাসেবক গফুর জানান, শনিবার ক্রেতাদের ওপর তারা ভরসা করে আছেন। একটি ষাঁড় বাজারে নিয়ে আসা স্থানীয় ধনপুরের বাসিন্দা রজত আলী জানান, দুই বছর তিনি ষাঁড়টি পালন করেছেন। ৭০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। ৮০ হাজার হলে বিক্রি করবেন তিনি।
কাজীরবাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায় একটা সাদা গরু নিয়ে ফিরছিলেন সুবিদবাজারের প্রবাসী পরিবারের সদস্য গাফফার। তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় গরুর দাম এবার অনেক বেশি।

এ বিষয়ে সিলেট ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মখলিছুর রহমান কামরান জানান, এবারের বাজার পরিস্থিতি অন্যরকম মনে হচ্ছে। পশু নিয়ে সবার মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করছে। বাজারে চাহিদা অনুপাতে পশুর সংখ্যা অনেক কম। সিলেটে এবার দেড় লাখের মতো পশুর চাহিদা আছে। তিনি বলেন, ক্রেতার উপস্থিতিও কম। শেষদিনে বাজার জমে ওঠার আশায় বসে আছেন ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *