সিলেটে ডেঙ্গুরোগী ১’শ ছাড়ালো

সিলেট

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় সিলেটে চলতি মওসুমে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০১ জনে। এরমধ্য চলতি জুলাই মাসের ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৪ জন।

মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সিলেটে চলতি মওসুমে ডেঙ্গুতে মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১০১ জনে। এরই মধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় সিলেটে ডেঙ্গুঝুঁকি ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গেল সপ্তাহে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযানে নগরীর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে নির্মাণাধীন ক্যান্সার ভবনে প্রচুর পরিমানে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া রাগিব রাবেয়া হাসপাতাল এলাকা, ২৬নং ওয়ার্ড, ১০নং ওয়ার্ড ও ৪নং ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গাও এডিসের লার্ভার সন্ধান পেয়েছে বলে জানান সিসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারীরা। যদিও সাথে সাথে সেসব লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এরপরও সিলেটজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক বেড়েই চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশীর ভাগ রোগীরই ট্রাভেল হিস্ট্রি না থাকায় তারা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ডেঙ্গুর কমিউনিটি ট্রান্সমিশনকে ঠেকাতে কাজ করছে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যথায় পুরো নগরবাসী চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি মওসুমে জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ৬৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। কিন্তু জুলাই মাসের শুরু থেকে খারাপ হতে থাকে সিলেটের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এরমধ্যে ২ জুলাই ৩ জন, ৩ জুলাই ৮ জন, ৪ জুলাই ১ জন, ৫ জুলাই ৩ জন, ৬ জুলাই ১ জন, ৭ জুলাই ৪ জন, ৮ জুলাই ২ জন, ৯ জুলাই ১০ জন, ১০ জুলাই ১ জন ও ১১ জুলাই ৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ৮৭ জন ডেঙ্গুরোগী সুস্থ হয়ে বাড়ীতে চলে গেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪ জন রোগী।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেটে ডেঙ্গুরোগী বৃদ্ধি পাওয়া ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে এডিসের লার্ভা পাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিদিনই নগরীতে অভিযান পরিচালনা করছে। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আমরা অভিযান আরো জোরদার করেছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *