লন্ডনে আজ শনিবারের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর লন্ডনের উপকণ্ঠে (৪২ কিলোমিটার দূরে) যে শহরে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে, সেখানকার আজকের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে আজ সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি। তার মানে প্রায় দ্বিগুণ গরম। আর চেমসফোর্ডে শুধু ঠান্ডাই নয়, সঙ্গে কনকনে বাতাস বয়। বল বাতাসে ও পিচে পড়ে একটু সুইং করে। যা সিলেট কেন, বাংলাদেশের কোন স্টেডিয়ামের পিচেই করে না। করবেও না।
আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে লন্ডন যাওয়ার আগে সিলেটে তিনদিনের প্র্যাকটিস ক্যাম্প আসলে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও নেতিবাচক চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
তবে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথা শুনে মনে হচ্ছে, সিলেটের আবাসিক অনুশীলন খুব সফল। তিনি খুব খুশি। তার দাবি, পিচ ও কন্ডিশন তারা যেমনটা চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই ছিল। এককথায়, সিলেটের তিনদিনের অনুশীলন ক্যাম্পে খুশি হাথুরু।
শনিবার সকালে প্রেস কনফারেন্সে তাই হাথুরু বলেন, ‘আমরা কন্ডিশন নিয়ে খুবই খুশি। আমরা যেমন চাই, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে তারা (কিউরেটর ও মাঠকর্মীরা) কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আপনি দেখতে পারেন ছেলেদের এনার্জি। ইন্টেনসিটি খুব ভালো ছিল, আমি এটাতে খুশি।’
এ সংক্ষিপ্ত অনুশীলন ক্যাম্পে হেড কোচের কাজ কী ছিল? তিনি বিশেষ কী করিয়েছেন? এমন প্রশ্নর জবাবে হাথুরুসিংহে জানান, তিনি আসলে বিশেষ কিছু করাননি।
হাথুরু বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গেই বাড়তি কিছু করিনি। আমি শুধু মাঝে দাঁড়িয়ে এটি নিশ্চিত করছিলাম যে, সেশনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয় এবং ইন্টেন্সিটি না কমে। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই আমি। পুরো দল নিয়েই ভাবছি। সে (তামিম) খুব ভালো ব্যাটিং করছে। এই ক্যাম্পে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমি খুব খুশি।’
শেয়ার করুন