সিলেটে মাংসের দোকানে যাওয়ার সাহস হারিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ!

সিলেট

সিলেটে নিম্নবিত্ত- এমনকি বর্তমানে মধ্যবিত্ত মানুষেরও খাবারের তালিকা থেকে হারিয়ে যেতে বসছে মাংস। গরু ও খাসির মাংস ক্রয়ক্ষমতার  বাইরে থাকার কারণে অনেকেই খাবার তালিকায় বিকল্প হিসেবে মুরগির মাংস রাখতেন। তবে এখন তাতেও স্বস্তি নেই।

বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী মুরগির মাংসের দাম। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল ব্রয়লার মুরগি। তবে এখন তা ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে ঠেকেছে।

খরচ কমাতে কম আয়ের মানুষ খাবারের তালিকায় এখন মাংস রাখতে পারছেন না এর চড়া দামের কারণে। গত কয়েক বছর আগেও ৫০০ টাকার নিচে ছিল গরুর মাংসের কেজি। এখন এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হয় ৭০০ টাকার উপরে। পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো বাজারে ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়। এদিকে খাসির মাংসও স্বল্প আয়ের মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক মাস আগেও ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত এক কেজি খাসির মাংস। অথচ এখন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকায়। তবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেও প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭২০ টাকা ও খাসির মাংস ১০৫০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারের সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ জন্য বাজার খরচের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গরু বা খাসির মাংস তো কিনে খাওয়ার চিন্তাও ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে এসাপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম কেজি ৬০ খেকে ৭০ টাকা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। সবকিছুর দাম বেড়েছে। মাছের দামও এখন বেড়েছে। এতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তারা।

মাংসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিক্রেতারা। বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে।

বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গো-খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গমের ছাল, সরিষার খৈল, ছোলার ভুসি ও খেসারির দাম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এতে করে খরচও বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক বলছেন, বাজারে এখন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। এতেও দামে প্রভাব পড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম হঠাৎ করে বাড়ার বিষয়ে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা।

গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের দাম একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে বাজর মনিটরিং করার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *