সিলেটে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীর কাছ থেকে অর্থ আদায়: গ্রেফতার ৪

সিলেট

সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার অভিযানে ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১ ব্যবাসায়ী সিলেটে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খরজখালী গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে মো. তমিজ আলী (৪০), সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিছা এলাকার মৃত এংরেজ মিয়ার ছেলে মো. সাজ্জাদ মিয়া (৪৫), একই থানার আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার মল্লিকা ৬৪/২-এর মৃত শেখ মজিদ মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া (৩৫) ও সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন মিরাবাজার এলাকার বসুন্দরা-৪ এর মৃত রমেন্দ্র নারায়ন দেবের ছেলে তপু রঞ্জন দেব (৩৫)।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে সৈয়দ এমরান হোসেন (৪৫) নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী ব্যবসার মালামাল আনার জন্য জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টে আল-সাফা রেস্ট হাউজের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় উল্লেথিত ৪ আসামি ২টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে এমরানের গলায় ছুরি ধরে অপহরণ করে নিয়ে যান।

পরে তাকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সবুজ বিপনী রেস্ট হাউজের ৪র্থ তলার একটি রুমে নিয়ে আটক করে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এমরানের নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও তাকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এসময় এমরানের সঙ্গে থাকা ৮৫ টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এছাড়াও আরও চাঁদা আদায়ের জন্য এমরানের গলায় চাকু ধরে স্ত্রী তাহমিনা বেগমের ইমুতে ভিডিও কল দেয় সেটি দেখান আসামিরা। পরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা প্রেরণ করেন তাহমিনা।

পরদিন (৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় সোমবার (১০ অক্টোবর) দক্ষিণ সুরমা থানায় ব্যবসায়ী এমরান মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকালে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান তালুকদার সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেফতার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করেছি। আসামীদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *