সিলেট নগরী ও জেলায় মোট ২ হাজার ৯৯৯ টি ঈদগাহ, খোলা ময়দান ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়।
সিলেট নগরীর এলাকায় মোট ৪৩০টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৩৪৭টি মসজিদে ও ৮৩টি ঈদগাহে হবে ঈদের জামাত। আর জেলায় মোট দুই হাজার ৫৬৯টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে মসজিদে হবে দুই হাজার ৯৯টি ও ঈদগাহে হবে ৪৭০টি।
সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাহী ঈদগাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবু হুরায়রা। এর আগে বয়ান পেশ করবেন একই মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।
এছাড়া নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পৃথক তিনটি ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায় এবং হযরত শাহজালাল (র) এর মাজার প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট জেলার মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলায় ৪০টি খোলা ময়দান ও ৩৫৫টি মসজিদে, ওসমানীনগর উপজেলার ৯৫টি খোলা ময়দান ও ৬৮টি মসজিদে, বালাগঞ্জ উপজেলার ২২টি খোলা ময়দান ও ১৩০টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১৮টি খোলা ময়দানে ও ২১০টি মসজিদে, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ২২টি খোলা ময়দানে ও ১৩০টি মসজিদে, বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭২টি ময়দানে ও ১৯২টি মসজিদে, জকিগঞ্জ উপজেলার ১০টি ময়দানে ও ৩৭৫টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কানাইঘাট উপজেলার ৬৭টি খোলা ময়দানে ও ২১৫টি মসজিদে, জৈন্তাপুর উপজেলার ২৮টি ময়দান ও ১০৯টি মসজিদে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭১টি ময়দান ও ১৭৫টি মসজিদে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৫টি ময়দান ও ১৪০টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের নামাজ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঈদ জামাত ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোষাকে সাদা পোষাকে পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইসিস রেসপন্স টিম-সিআরটি, বোম্ব ডিসপোজাল টিম দায়িত্ব পালন করবে। বিশেষ করে নগরের প্রধান ঈদ জামাত হবে শাহী ঈদগাহে। সেখানে প্রতিটি কাতারে পুলিশের নজরদারি থাকবে। একইভাবে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে এবং শাহপরান (র.) দরগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোয় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, মহানগর এলাকাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করেছেন পুলিশ কমিশনার। সেই ছক অনুযায়ী, ঈদ পূর্ব, ঈদের দিন ও ঈদ পরবর্তী ফাঁকা নগরে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। পাশাপাশি ট্রাফিকিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া সবার ঈদ যাত্রা যেন নিরাপদ হয়, সেজন্য রাস্তাঘাটে অপরিচিত লোকের দেওয়া কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকতেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে এসএমপি পুলিশ।
শেয়ার করুন