সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে হত্যার অভিযোগ

বাংলাদেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাখের আলী সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরে ভাগিরথি নদী থেকে একটি মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

নিহত যুবকের নাম তোশিকুর ইসলাম (৩২)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখেরআলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে তোশিকুরকে গুলি করে হত্যা করে ভারতের বাহুড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। পরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় নদীতে।

নিখোঁজ তোশিকুরের আত্মীয় সাদরুল ইসলাম জানান, নিজেদের গরু দেখাশোনার কথা বলে বের হয়। শুনেছি বিএসএফ মেরে ফেলেছে।

তোশিকুরের পিতা ইব্রাহিম বলেন, আমাদের নিজেদের গরুর পাল আছে। সেখানে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলে তোশিকুর বাড়ি থেকে বের হয়। এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসেনি। তারপর শুনছি বিএসএফ আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে, তবে কিভাবে মেরেছে সেটা বলতে পারব না। এলাকার দুই মেম্বারের মাধ্যমে স্থানীয় বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তৌশিকুরের ভাই উজির আলী জানান, সে ভারতের সীমান্তে গিয়েছিল। এখন শুনতে পাচ্ছি ভারতের নদীতে আমার ভাইয়ের লাশ ভাসছিল। পরে ভারতের জঙ্গিপুরের পুলিশ লাশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। সেখানে আমার ভায়ের লাশ কিভাবে গেল তা জানি না।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের জহুরপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার শহীদুল ইসলাম এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসি মোনোজ বোরা।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের জঙ্গিপুর থানায় বাংলাদেশি নাগরিক তোশিকুরের মরদেহ রয়েছে এবং মরদেহটি ফেরত চায় বিজিবি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তোশিকুরের পিতার তথ্য অনুযায়ী জেনেছি ভারতের ভাগিরথি নদীর ৮ কিলোমিটার ভেতরে একটা ভাসমান লাশ পাওয়া গেছে। এ বিষয় নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৌশিকুরের তথ্য ও ছবি দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *