শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হলগুলোতে ছাত্রলীগ আছে— স্থানীয়দের এমন অভিযোগে হল ত্যাগ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার থেকে হল ত্যাগ করতে শুরু করে তারা।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, হলে কেবল সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছে, ছাত্রলীগের কোনো কর্মী নেই। আর শিক্ষকরা বলছে, প্রশাসন না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ভিসিসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ হলে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা তাদের।
গত ২৬ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে স্থানীয়রা। এসময় তারা আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগ রয়েছে অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য আলটিমেটাম দেয়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার রাত থেকে হল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে হল ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, হলে এখন কোনো ছাত্রলীগ কর্মী নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই কেবল হলে রয়েছে। স্থানীয়দের নাম দিয়ে তৃতীয় পক্ষ ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তাদেরকে হল ত্যাগে বাধ্য করেছে। এক্ষেত্রে শাবিপ্রবি সমন্বয়কদেরও দোষারোপ করছে অনেকে।
ছাত্ররা হল ত্যাগ করলেও ছাত্রীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করছে। তবে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাদের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা সক্রিয় ছিল। তারা কোনো দলের সমর্থক না। তবুও তাদেরকে ছাত্রলীগ নাম দিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হলো।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম। তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বিকল্প ছিল না। প্রশাসন না থাকায় এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সংকট সমাধানে দ্রুত ভিসিসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৬টি আবাসিক হল রয়েছে। এসব হলে ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২ হাজার।
শেয়ার করুন