সিলেটের ২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত শফিকুর রহমান চৌধুরী আবার ‘কামব্যাক’ করেছেন জনপ্রতিনিধির আসনে। এরমধ্য দিয়ে দশ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা এই রাজনীতিকের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে নৌকা প্রতীকের তিনি ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের মুহিবুর রহমানকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট।দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে কাজ করা এই রাজনীতিবিদ বিলাতের মায়া ত্যাগ করে সিলেটের রাজনীতিতে সক্রিয় হন ২০০৮ সাল থেকে।
২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা এম ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।স্থানীয় রাজনীতিতে অভাবনীয় এই সাফল্যে দলীয় প্রধানও তাকে যথাযত মূল্যায়ন করে সরাসরি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন।
এর পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ; সবার কাছে শফিক চৌধুরীর দরজা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এজন্য তিনি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
নির্বাচনী বিজয়ী হবার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশের মতো সিলেটেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা বিশ্বে তাঁর নেতৃত্ব ও উন্নয়ন প্রশংসিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সে কারণেই আমার সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ ও নৌকার গণজোয়ার তৈরি হয়েছিলো। বিশ্বনাথ ও ওসামানীনগরের সকল নাগরিক আমাকে তাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য আমি আমার ভোটারসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকলস্থরের নেতাকর্মীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এই আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে অন্যন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য) ১৯২২ ভোট, সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরী (লাঙল) পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৭৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো.মনোয়ার হোসাইন (আম) ২৫৩, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আব্দুর রব (সোনালী আঁশ) ৯৪৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো.জহির(ডাব) ১৮৫ ভোট পেয়েছেন।
শেয়ার করুন