বুধবার (৯ নভেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৯৬ জন। তাদের নিয়ে চলতি মাসের ৯ দিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল সাড়ে ৭ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে নভেম্বরের প্রথম নয়দিনে মৃত্যু হল ৪৬ জনের।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মারা গেলেন ১৮৭ জন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক।কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময়ে কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ডেঙ্গুর তীব্রতা কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন তারা।
বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগের তথ্য রেকর্ড করা হয় ২০০০ সালে। সেই বছর ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।দেশে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। গত বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৫ জন মারা যান এবং হাসপাতালে ভর্তি হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন।
মূলত বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।এ বছর অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিল মাসে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুন মাসে ৭৩৭ জন, জুলাই মাসে ১ হাজার ৫৭১ জন, অগাস্ট মাসে ৩ হাজার ৫২১ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৯ হাজার ৯১১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।সর্বাধিক ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অক্টোবর মাসে। এ ছাড়া জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয় এডিস মশাবাহিত এই রোগে।
শেয়ার করুন