সংবিধান পর্যালোচনাসহ মূল্যায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, বার অ্যাট ল ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া, বার অ্যাট ল এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানী এবং সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কেউ অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে, তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। পরে ৩ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ অবশিষ্ট থাকা সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
শেয়ার করুন