গোয়াইনঘাটে এইচএসসি উত্তীর্ণ কৃতি সংবর্ধনা রেজাল্টই মানুষকে পার্থক্য করে দেয় না —ইউএনও তাহমিলুর রহমান

সিলেট

তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাটঃ

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেছেন, সাধারণত আমরা দেখি যে জিপিএ-৫ সংবর্ধনা। কিন্ত আপনারা, যারা পাশ করেছে সবাইকেই সংবর্ধনার মধ্যেই এনেছেন। এটা গুড আইডিয়া আমি মনে করি। রেজাল্টই মানুষকে পার্থক্য করে দেয় না, এটারই বড় প্রমাণ এই অনুষ্ঠান।

ইউএনও বলেন, আমরা যেটা চিন্তা করি সেটা যখন পাই না তখন আমাদের ভেতর এক ধরণের হতাশা কাজ করে। এই হতাশাটা আমাদের জন্য খুবই ভয়ানক। কারণ এই হতাশার কারণে আমাদের ভেতর নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত, মানসিক এবং শেষ পর্যন্ত অনেকেই হতাশার চাপও নিতে পারে না। না নিতে পেরে নানান এক্সিডেন্ট ঘটায়। তিনি বলেন, এই যে হতাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ এই সংযোগ ঘটানো খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং আমি মনে করি এই বয়সে তোমরা যারা আছ, তোমাদের জন্য ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট।

গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে, উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন ছাত্রকল্যাণ পরিষদের আহবায়ক ছাত্রনেতা আমিরুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এই কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব জুবায়ের আহমদ ও সদস্য মোশাররফ হোসেন সাগরের যৌথ সঞ্চালনায় শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন মুহাম্মদ উসমান বিন মামুন, গীতা পাঠ করেন সমর দত্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য আহমদ উল-কবির সাজু।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক, গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন, গোয়াইনঘাট আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিল্লুর রহমান, সমাজসেবক মাওলানা দেলওয়ার হোসেন ও গোয়াইনঘাট উদ্যমী ছাত্র সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক মারজানুল আযহার জুনেদ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম সুমন, আনিসুর রহমান, আশরাফ হোসেন শাওন ও সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *