দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস সংগ্রহ, গ্যাসের প্রেসার কম, দিনে ৫ ঘন্টা গ্যাস স্টেশন বন্ধ থাকা, উপজেলায় গ্যাস স্টেশন না থাকার অজুহাতে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা।
জানা যায়, জুড়ী থেকে বড়লেখা পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া ছিল ৪০ টাকা,বর্তমানে করা হয়েছে ৫০ টাকা।জুড়ী থেকে কুলাউড়ার ভাড়া ছিল ৩০ টাকা, বর্তমানে করা হয়েছে ৩৫ টাকা। জুড়ী থেকে মানিক সিংহ বাজারের দূরত্ব মাত্র ৩ কিমি,সেখানের ভাড়া করা হয়েছে ১৫ টাকা।জুড়ী থেকে নওয়া বাজারের ৪ কিমি দূরত্বের জায়গার ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ২০ টাকা।
ইচ্ছেমাফিক ভাড়া বৃদ্ধির ফলে দূর্ভোগে পড়ছেন সাধারন যাত্রীরা।ক্যাম্প চত্বর থেকে কুলাউড়া গামী ইবরাহিম আলী নামের ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ সিএনজি দিয়ে যেতে চাইলে চালক ভাড়া ৩৫ টাকা দাবি করেন।এতে বৃদ্ধ সিএনজি থেকে নেমে বাসের অপেক্ষা করতে থাকেন।
এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আগে জুড়ী থেকে কুলাউড়া সিএনজি ভাড়া ২০ টাকা ছিল,রাস্তা ভাঙ্গার অজুহাতে তারা (চালকরা) ৩০ টাকা করল কিন্তু রাস্তার কাজ হওয়ার পর ভাড়া না কমিয়ে এখন ৩৫ টাকা দাবি করছে।
রাহেলা বেগম নামের একজন নারী সংবাদকর্মী বলেন,আমি কুলাউড়া থেকে জুড়ীর সিএনজিতে জুড়ী আসার পর চালক আমার কাছে ভাড়া ৩৫ টাকা দাবি করে,আমি ৩৫ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে ড্রাইভাররা আমার সাথে দূর্ব্যবহার করে।
শরিফ উদ্দিন নামের এক যাত্রী জানান, জুড়ী থেকে নওয়াবাজারের দূরত্ব মাত্র ৪ কিমি।আগে ভাড়া ছিল ১০ টাকা।বন্যার সময় ভাড়া ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৫ টাকা করা হয়।বর্তমানে আরও ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ২০ টাকা করা হয়েছে।১০ টাকা থেকে ১৫ পর্যন্ত ভাড়া যৌক্তিক ছিল।
সিএনজি চালক জাবেদ, রুমেল, মাছুম বলেন, জিনিষপত্রের যে দাম তাতে আমাদের পোষায় না। গ্যাসের তীব্র সংকট, জুড়ী কিংবা বড়লেখা উপজেলায় কোন গ্যাস ফিল্ড নাই,কুলাউড়ায় গ্যাসের জন্য লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।এর মধ্যে আবার প্রেসার থাকে না অনেক সময়।এলপিজি গ্যাসে গাড়ি পর্যাপ্ত কিমি চলে না।মালিককে দিয়ে প্রতিদিন কোনরকম ভাবে ৪০০-৫০০ টাকা রোজ কামানি কষ্টকর হয়ে যায়।
বিজিবি ক্যাম্প চত্বর সিএনজি স্ট্যান্ডের সাধারন সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বলেন, চালকদের কথা চিন্তা করে উপজেলা সহ পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মতে এ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
শেয়ার করুন