পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, দীর্ঘদিন সিলেটে কোন নদী সংষ্কার হয়নি, পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এক সময় সিলেট শহর দীঘির শহর ছিল, চারপাশে পুকুর ছিল। আজ কিছুই নেই। শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং। যত জলাশয় ছিল, দখল হয়ে গেছে। সাগরদিঘীতে এক ফুটা পানিও নেই। এসব কারণেই তো এতো বড় বন্যা দেখা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে। অন্যথায় পানি নিষ্কাশনের আর কোন ব্যবস্থা নেই। প্রকৃতিতে অস্বীকার করে চলা যায় না। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্লানিং করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় আমাদের সফলতা হলো- তড়িৎ গতিতে মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমেছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৬ জুন রাতে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান রাত ৩টার দিকে আমাকে বন্যার ছবি দিলেন। আমি দেখলাম, আমার সিলেট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তখনই দুর্যোগ মন্ত্রীকে ফোন দিলাম, বললাম- আমার সিলেট শেষ। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মন্ত্রী বললেন- চিন্তার কোন কারণ নেই, প্রয়োজনীয় খাবার, টাকা-পয়সা আছে। যা লাগবে বলবেন।
বন্যার মানুষ থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইলাম। প্রধানমন্ত্রী নৌকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেনাবাহিনী পাঠিয়ে মানুষকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করলেন। এবারের বন্যায় সিলেটে সরকারের পক্ষ থেকে যা সাহায্য এসেছে তা আর কখনও আসেনি।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বন্যায় সময় নেতাকর্মীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। তারা শুকনো খাবার দিয়েছেন, ত্রাণ দিয়েছেন। এজন্য বলি, আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দরকার। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। জনগণের মান উন্নয়নে এ সরকার কাজ করে।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার নয়াবাজারে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লিমন আহমদ, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, ইউনিয়ন আওয়্মী লীগের সভাপতি তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, উপজেলা স্পোর্টস একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা ইকলাল আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা সাজলু লস্কর, ইফজাল আহমদ চৌধুরী, ফজলুর রহমান জসিম, আনসার আলী, মহানগর তাতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশ আলী সুহেল, ডা. ওয়াহিদ, রাইসুণ রাসেল, আবু সুফিয়ান, মোঃ রুনেল আহমদ, সাদত হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি বলেন, বন্যার শুরু থেকে যুবলীগ মানুষের পাশে আছে। এসব কাজে যুবলীগকে বিভিন্ন মানুষ সহযোগিতা করে আসছেন। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য আওয়ীমী লীগ নেতা আকলু প্লাজার স্বত্বাধিকারী আকলু মিয়া বন্যা দুর্গত মানুষের সহযোগীতার জন্য যুবলীগকে সহায়তা দিয়েছেন। তিনি যুবলীগের পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শেয়ার করুন