সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সাথে সংলাপে বসতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সমবেত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। সার্বক্ষণিক সব খবরাখবর পেতে বিবিসি বাংলার লাইভ পেজে যুক্ত থাকুন।
সার সংক্ষেপ
- সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছে।
- আন্দোলনকারীদের সাথে সংলাপে বসতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা।
- রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য “সর্বাত্মক অসহযোগ” আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
- ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেক এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে তারা সেখানে এসেছেন।
- ঢাকা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সমবেত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।
- বাংলাদেশে সহিংসতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২ জন সেনেটর ও কংগ্রেসম্যান।
সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
সরকারের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৩রা আগস্ট) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা করেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
বর্তমান সরকার পদত্যাগের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঘোষণাপত্রে তারা বলেন-
‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, নারী-শিশু-ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক কেউ এ গণহত্যা থেকে রেহাই পাননি;
যেহেতু, সরকার এ হত্যাযজ্ঞের বিচার করার পরিবর্তে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে;
যেহেতু, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ সংঘটন করেছে;
যেহেতু, ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-মজুরসহ আপামর জনগণ মনে করছে এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ বিচার এবং তদন্ত সম্ভব নয়;
সেহেতু, আমরা বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করছি।
একইসাথে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জানাচ্ছি।’
এসময় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা জনগণকে মুক্ত করতে আবার রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা আজকে এক দফা দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি”।
এই সরকার কোনোভাবেই আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বলেছে, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আমরা সাধুবাদ জানাই যে তিনি বুঝতে পেরেছেন গণভবনের দরজা খোলা রাখতে হবে। কারণ তার যাবার সময় হয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, “আপনি দরজা খুলে অপেক্ষা করুন। আমরা সংলাপ না, আপনাকে উৎখাত করার জন্য আসবো। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করলেই হবে না। এই যে খুন-লুটপাট, দুর্নীতি এই দেশে হয়েছে, তার বিচার হতে হবে”।
“আমরা পদত্যাগ দিয়ে তাকে কোনো এক্সিট রুট দিতে চাই না। তাকে পদত্যাগও করতে হবে, বিচারের আওতায়ও আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা না, মন্ত্রীপরিষদ, সরকার সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। এবং এই যে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা এটাকে বিলোপ করতে হবে”।