কাজী মোহাম্মদ আলীঃ
যশোরের অভয়নগরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক
বাজার মনিটরিং না থাকায় সরকার নির্ধারিত মুল্যে মিলছে না এলপিজি গ্যাস। বাধ্য হয়ে নির্ধারিত মুলের থেকে ১৫০ -২৫০ টাকা বেশী দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ জনতা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ২ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজি এলপিজি প্রতি সিলিন্ডারের ২৬৬ টাকা মুল্য বৃদ্ধি করে ১৪৯৮ টাকা করেন। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সরকার নতুন দাম নির্ধারণ করলেও অভয়নগরে সেই দামেও মিলছে না পেট্রোলিয়াম গ্যাসের এলপিজি সিলিন্ডার। অধিকাংশ বিক্রেতা সরবরাহ কমের অজুহাতে ইচ্ছে খুশি মতই নিজেরা মুল্য নির্ধারণ করে তা বিক্রি করছে।
সুশীল সমাজের দাবি, বাজার এলাকায় সঠিক মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা নিজ খেয়াল খুশি মত মুল্য নির্ধারণ করে ১৬৫০ – ১৭৫০ টাকা বিক্রি করছে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি মুল্য।
আসমা নামের নওয়াপাড়া এক গৃহিণী বলেন, টিভি পত্রিকায় গ্যাসের মূল্য দেখে সেই অনুপাতে টাকা নিয়ে গ্যাস কিনতে এসে দেখি নির্ধারিত মুলের থেকে ২০০ টাকা অতিরিক্ত চাচ্ছে বিক্রেতা।
আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা না থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
এদিকে নওয়াপাড়া বাজারের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, ডিলারদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে, তাছাড়া আমাদের চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছি না। আমরা বেশি দামে কিনছি, এজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে
বেশি দামে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে এমন কোন অভিযোগ
আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।