অ্যাপলের লোগো তৈরির পেছনের গল্প

তথ্যপ্রযুক্তি

বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। এই কোম্পানির লোগো অর্ধেক খাওয়া একটি আপেল। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোগোর জন্য এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্টিভ জবস। কাজটির জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন রব জ্যানোফ। ১৯৭৭ সালের ঘটনা। নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপলের বয়স তখন প্রায় এক বছরের কাছাকাছি।

লোগো কেমন হতে হবে, কিসে প্রাধান্য দেওয়া হবে, এসব নিয়ে জ্যানোফকে তেমন কোনো নির্দেশনা দেননি স্টিভ জবস। কেবল বলেছিলেন, ‘ডোন্ট মেক ইট কিউট।’এরপর কাজ শুরু করে দেন জ্যানোফ।

২০১৮ সালে জনপ্রিয় ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাপেল লোগো ডিজাইন সম্পর্কে রব জ্যানফ বলেন, ‘আমি শুধু কম্পিউটারকে সহজ এবং মজাদার করে তুলতে চেয়েছিলাম।’

শুরুতেই সাধাসিধে আপেলের কথা মাথায় আসে জ্যানোফের। সঙ্গে থাকবে একটি পাতা। তবে একই আকৃতির অন্যান্য ফলের সঙ্গে লোকে মিলিয়ে ফেলতে পারে-এমটাও ভেবেছিলেন তিনি। পাশাপাশি অন্য কিছুর ছবি না থাকলে লোগোতে আপেলের আকার দেখে বোঝার উপায়ও থাকবে না। বিশেষ করে চেরির কথা মাথায় ছিল তার।

নিজের ওয়েবসাইটে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন জ্যানোফ। শেষ পর্যন্ত অর্ধেক খাওয়া আপেলটিই পুরো পৃথিবীতে অ্যপলের প্রতিনিধিত্ব করছে।

প্রথম সংস্করণে অ্যাপলের লোগোতে ছয়টি রঙের ডোরা ছিল। সেটা ছিল স্টিভ জবসের ইচ্ছায়। তিনি চেয়েছিলেন, অ্যাপলের তৈরি কম্পিউটারে যে রঙিন ছবি দেখা যায়, তা লোগোতেও উপস্থিত থাকুক। মানুষের মনে প্রভাব ফেলুক। কারণ, সে সময়ের অন্যান্য কম্পিউটারে রঙিন ছবি দেখা যেত না। এরপর বিভিন্ন সময় লোগোতে টুকটাক পরিবর্তন আনা হয়েছে, তবে আকৃতি বদলায়নি।

অ্যাপলের লোগোতে কেন এই কামড়, সেই প্রশ্নের উত্তরে ডিজাইনার জানিয়েছেন, অ্যাপলের প্রথম শব্দ ‘a’ ছোট হাতে লিখে তা লোগোর মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। এই কারণে আপেল চিহ্নতে বক্রতার সৃষ্টি হয়। পরে অ্যাপেল লেখা সরিয়ে নেয়া হলেও লোগোতে এই বক্রতা থেকে যায়। যা অনেকেই আপেলে কামড় ভেবে ভুল করে থাকেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *