দুই মাস পর সিলেটে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

সিলেট

সিলেটে এক ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তিনি স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হননি। আক্রান্ত যুবক (৩০) ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে সিলেটে আসার পর তাঁর জ্বর দেখা দেয়। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, সিলেটে গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চারজন চিকিৎসা নিয়েছেন। নতুন করে আরও একজনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাঁদের কেউই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হননি। সবার ঢাকায় যাতায়াতের ‘হিস্ট্রি’ আছে।

জন্মেজয় দত্ত আরও বলেন, যদিও সিলেটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, এরপরও সিলেটে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনো স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য নেই। বর্তমানে করোনার উপসর্গের সঙ্গে ডেঙ্গুর উপসর্গের মিল থাকায় অনেকে দুটি বিষয় গুলিয়ে ফেলেন। এ জন্য জ্বর হলে বা ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ ও পরীক্ষা করাতে হবে।

চার দিন ধরে হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেওয়া শাহজালাল উপশহর এলাকার ওই যুবক বলেন, ব্যক্তিগত কাজে ৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। এক দিন থাকার পর ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটে ফেরার পর শরীরে হালকা জ্বর ওঠে। পরের দিন থেকে জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়া, মাথা ও শরীরে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। এ ছাড়া শরীরে র‍্যাশও দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাড়িতে থেকে কিছু ওষুধ সেবন করেন। এতে জ্বর ও ডায়রিয়া না কমায় গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে। আজ তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন।

ওই যুবক আরও বলেন, ঢাকায় অবস্থানকালে মশার কামড় বুঝতে পেরেছেন। তখন তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। এখন বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন। তাঁর ধারণা, মশার কামড় থেকেই এ সমস্যা হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশকনিধন অভিযান অব্যাহত আছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে নগরের বাসিন্দাদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও পানি জমতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম। সিলেটে এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপরও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির আশপাশে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *