আমি লুটপাট করলে আওয়ামী লীগ নেতারাও এতে জড়িত: আরিফ

সিলেট

নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমি লুটপাট করে থাকলে তাতে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাও জড়িত।

শনিবার দুপুরে সিলেটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি বলেন আরিফুল হক।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে, যিনি গত ১০ বছর ধরে সিলেটের মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন।

সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আনোয়াজ্জামান ও আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, গত ১০ বছর সরকার থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হলেও আরিফুল হক পরিকল্পিত উন্নয়ন করেননি। আরিফ কসমেটিকস উন্নয়ন করেছেন ও লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।

এ প্রসঙ্গে শনিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আরিফুল হক বলেন, বিগত দিনে আমি যে লুটপাট করেছি, ওই লুটপাটে উনারাও শরিক ছিলেন নিশ্চয়। তা হলে আমার লুটপাটের খবর তারা জানলেন কী করে?

আরিফ বলেন, আমি এখনো প্রার্থিতার ঘোষণা দেইনি। তবু আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতা আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই- আমাদের সকলকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। আমরা সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্য নিয়ে গৌরবান্বিত। এই ঐতিহ্য হচ্ছে সম্প্রীতি ও শিষ্টাচারের। এটি কখনোই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।

নিজেরও ভুল থাকতে পারে মন্তব্য করে আরিফ আরও বলেন, আমি ফেরেশতা নই। আমারও ভুল থাকতে পারে। ঘটনমূলক সমালোচনা করুন। সুনির্দিষ্টভাবে ভুল ধরিয়ে দিন। তাতে আমি নিজেকে শুধরে নিতে পারবো। কিন্তু ঢালাও সমালোচনা করে কোন লাভ নেই।

আরিফ বলেন, আমাকে চ্যালেঞ্জ করে কোন লাভ নেই। কারণ আমার সাথে এই নগরের সাধারণ মানুষজন আছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অতিউৎসাহ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসনের অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ডে সন্দেহ গভীর রূপ নিলে’ নির্বাচনে প্রার্থী নাও হতে পারি।

আরিফুল হক বলেন, যদি আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াই তাহলে বুঝতে হবে প্রশাসনের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্দেহ গভীর রূপ নিয়েছে।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ভোটের প্রতি আস্থা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *