সিলেট নগরীর আম্বরখানা মান্নান সুপার মার্কেট এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ কর্মী মো. আজিজুর রহমান সম্রাট গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্খাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চৌকিদেখী খাসদবীর এলাকার স্বেচ্ছাসকদল, যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডার চৌকিদেখীর বাশবাড়ীর মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহেদ আহমদ চমন, জালালাবাদ থানার পালপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে আ ফ ম কামাল, মানসীনগর গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী লাহিন ও বাগবাড়ীর মনির ওরফে লাউটা মনিরসহ কতিপয় সন্ত্রাসী পিস্তল ও ছোরা দিয়ে যুবলীগ কর্মী সম্রাটের উপর হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা সম্রাটের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধরে ও উপর্যোপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন সম্রাটকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, বিশ্বনাথের লামাকাজীর কাজিরগাঁওয়ের মো. আব্দুল আহাদের ছেলে মো. হাবিবকে একটি কোম্পানীতে চাকুরি দিবে বলে প্রায় আড়াই মাস আগে সৌদি আরবে পাঠায় আম্বরখানা ১০নং মন্নান সুপার মার্কেটের লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের মালিক মো. লাহিন। কিন্তু সৌদি আরবে গিয়ে হাবিব কোনো কোম্পানীর কাজ পান নি। তাকে মরুভূমিতে উট রাখার কাজে নিয়োগ করা হয়। বিষয়টি প্রবাসী হাবিব তার বাবাকে জানালে তিনি বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উক্ত ট্রাভেলসে গিয়ে লাহিনের কাছে তার ছেলের ব্যাপারে জানতে চান। এতে লাহিন কোনো সদুত্তোর না দিয়ে তাদেরকে অপমানিত করে। হাবিবের বাবা লাহিনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করে ও ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়।
এর আগে স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি সমাধানে এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে লাহিন বুধবার ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করবে বলে মুরব্বিদের জানায়। সে অনুযায়ী বুধবার বিকেলে হাবিবের বাবাসহ কয়েকজন টাকা আনতে গেলে মার্কেটের ভেতরে মো. আজিজুর রহমান সম্রাটসহ দুজনকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
শেয়ার করুন