ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে টানা ১০ দিনের ছুটিতে ভিন্ন এক রূপে সেজেছে সিলেটের পর্যটন অঞ্চলগুলো। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক ভিড় করেছেন জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, মাধবকুণ্ড, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল ও সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে।
প্রাকৃতিক শোভায় ঘেরা এই সব এলাকাগুলো ঈদের ছুটিতে পরিণত হয়েছে পর্যটকদের মিলনমেলায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পর্যটকরা উপভোগ করছেন সিলেটের পাহাড়, ঝরনা, নদী ও সবুজ প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য। বিশেষ করে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়াতে আসা মানুষদের মুখে হাসি আর মুগ্ধতার ছাপ স্পষ্ট।
জাফলংয়ের পাথর নদী, বিছানাকান্দির স্বচ্ছ জলধারা, রাতারগুলের জলাবন, মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত কিংবা লালাখালের নীল পানি-প্রতিটি জায়গাই যেন ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য স্বর্গসম এক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পর্যটন এলাকার ভিড় সামলাতে ও সেবার মান বজায় রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নাওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভ্রমণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ এবং মেডিকেল সহায়তা ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়েছে।
সাফাপাথরে ঘুরতে আসা তাসলিম বলেন, আমি সিলেটে এর প্রথম আসছি, সিলেটের দৃশ্য দেখতে অনেক সুন্দর। এ রকম শুধু শুনছি সৌন্দর্য কিন্তু উপভোগ করতে পারিনি। আমি আমার বাবা মা ও ভাইকে নিয়ে আসছি সিলেটের সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে।
সিলেটে হোটেল অর্কিড গার্ডেনের ডাইরেক্ট সারওয়ার খান বলছেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক বাড়ায় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যাচ্ছে ব্যস্ততা।
শেয়ার করুন