উত্তরাধিকারী সনদের জন্য কাউন্সিলর লায়েকের ২০ হাজার টাকা দাবি!

সিলেট

সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের। এবার তার বিরুদ্ধে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার নামে ২০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও ও ভিডিও শনিবার দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এরআগে ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে অসহায়দের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রান সামগ্রী নিজের বাসায় মজুদ রেখে সমালোচনার মুখে পড়েন এই কাউন্সিলর।

এবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাউন্সিলর লায়েককে কথা বলতে শোনা যায়। ওই ব্যক্তিকে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার বিষয়েও কাউন্সিলরের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে শোনা যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তরাধিকারী সনদ পেতে হলে সনদপ্রত্যাশী ওই ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক জানান। কাউন্সিলরকে এ-ও বলতে শোনা যায়, উত্তরাধিকারী সনদ জেলা প্রশাসন দিয়ে থাকে। তাই টাকা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে।

তবে নগরের বাসিন্দাদের উত্তরাধিকারী সনদ পেতে হলে কোনো ধরনের ফি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় না বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান। তিনি বলেন, একজন কাউন্সিলরই মূলত উত্তরাধিকারী সনদ দিয়ে থাকেন। তবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে নাগরিককে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার বিধান রয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, কথাবার্তার একপর্যায়ে এক ব্যক্তি একটা খাম ও টাকা কাউন্সিলরের হাতে তুলে দেন।

এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের মুঠোফোনে কল করা হলে তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল রিসিভ করেন। তিনি জানান, শুক্রবার তার স্বামীর টনসিলে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তিনি আপাতত কথা বলতে পারছেন না। ছড়িয়ে পড়া অডিও ও ভিডিও রেকর্ড প্রসঙ্গে নাসিমা আক্তার কাছে দাবি করেন, এটা তার স্বামীর কণ্ঠ নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ বদনাম ছড়াচ্ছেন। তার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্যই কেউ এমন করেছেন। হয়তো কারও স্বার্থে আঘাত পড়েছে, তাই এমন অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

এরআগে ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনাকালীন সময়ে অসহায়দের সহায়তায় গঠিত সিসিক এর ‘খাদ্য ফান্ড’র ১২৫ বস্তা চাল লায়েকের মুন্সিপাড়া বাসা থেকে জব্দ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। ১২৫ বস্তা চালের গাড়িটি নিয়ম না মেনে ওই কাউন্সিলর বাসায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *