কক্সবাজারের সুন্দরবন ক্ষ্যাত বাঁকখালীর প্যারাবন ফিরিয়ে দিতে হবে

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা ও বাংলাদেশ ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“বাঁচাই সুন্দরবন, বাঁচাই পরিবেশ, টেকসই হোক আমাদের বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌরসভা মিলনায়তন কক্ষে এই আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়।

সুন্দরবন দিবসের সভায় বাপা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত পরিবেশকর্মীরা সুন্দরবন বিলুপ্ত ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, “সুন্দরবন ১৯৯৭ সালেত ৬ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবন পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এ বনের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে এবং বাকি ৩৮ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। অথচ এই সুন্দরবনকেই আমরা ইতিহাস থেকে ইতিহাসের মানচিত্র থেকে মুছে দিয়েছি। নিজেরা নিজেদের অস্তিত্বকে বিলুপ্ত করেছি। সুন্দরবন ধ্বংস করে দেশব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে এনে বাংলাদেশকে হুমকিতে ফেলেছি। যেসব হুমকি আমরা বর্তমানে উপলব্ধি করছি।”

এসময় পরিবেশ বক্তরা আরও বলেন, “কক্সবাজারে শহরের ম্যানগ্রোভ ক্ষ্যাত কস্তুরাঘাট এলাকার বাঁকখালী নদীর ৩০০ একর প্যারাবন ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ও সরকারি আমলা দ্বারা দখল হওয়া এই প্যারাবন ফিরিয়ে আনতে হবে। বাঁকখালীর উপর যে আবাসন প্রকল্প ও ইটপাথরের শহরতলী গড়ে উঠছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বংস করে প্যারাবনের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে আনতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সুন্দরবন সফর থেকে ফিরে কক্সবাজার জেলা বাপা সহ সভাপতি এম জসিম উদ্দিন বলেন, “সুন্দরবনকে আয়োজন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। সুন্দরবন সীমানাপ্রচীরে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলে বনের অভ্যন্তরে প্রতিদিন শত শত গাছ কাটা হচ্ছে। যদি এভাবে যাতায়াত সংরক্ষিত করা হয় তাহলে বনের ভেতরের গাছ গুলো কাটছে কে? সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদী গুলোতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে স্বীকার চলছে। এসবের সাথে কর্তৃপক্ষই সবচেয়ে বেশি জড়িত। গতানুগতিক এই ধারায় সুন্দরবন রক্ষা হবে না বরং নিঃস্ব হবে।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমাদের ২৯০০ একরের এক সুন্দরবন ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের সরকার সেটিকে চিংড়ি ঘের লিজ দিয়েছেন। এখন মহেশখালীর প্যারাবনেকেও চিংড়ি ঘেরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি আমলাদের সহায়তায় বাঁকখালীর প্যারাবন দখল করে শহরতলী গড়ে তোলা হয়েছে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বাপা কক্সবাজার জেলার
সহ সভাপতি এইচ. এম ফরিদুল আলম, সহ সভাপতি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক দোলন ধর,

কক্সবাজার সদর বাপার মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সহ সভাপতি হায়দার নেজাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, সদস্য চাষী দিদারুল, সদস্য গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ হাসান, আমিন উল্লাহ

উখিয়া উপজেলা বাপা নেতা মো: আনিসুল ইসলাম, মাসুদ রানা,

কুতুবদিয়া জপজেলা বাপা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *