সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ির সামনে সশস্ত্র মহড়ার ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬–এর বিধি ৩০ লঙ্ঘনের দায়ে, বিধি ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল অথবা তাঁর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে লিখিত বক্তব্যসহ নির্বাচন কমিশনে আগামী ১৪ জুন ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এর আগে ৬ জুন ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব হোসেন খানসহ কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দেন। ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘন, অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর ১৩/১৩ সুবিধবাজার দীঘির পাড় কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেন ঘুড়ি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলে যুবকরা প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে গিয়ে ফটকের দিকে অস্ত্র পদর্শন করেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ জুন) প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দাখিল করলে সেটি পুলিশ কমিশনার বরাবরে ব্যবস্থা নিতেন অগ্রবর্তী করা হলে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলা নং (১০(৬)’২৩)। এ মামলায় মামলায় সিসিক নির্বাচনে সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেনের খানসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় পুলিশ সিলেট নগরীর বনকলাপাড়ার নূরানী ৬৪/২ এর মফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান (৪২), একই এলাকার নূরানী ৮৩/৫০ মৃত আকরাম আলীর ছেলে জুবের আহমদ (৩৮) ও এয়ারপোর্ট থানাধীন হাজীপাড়ার নীলাচলের দুই নম্বর বাসার মিছির আলীর ছেলে নুরজ্জামানকে (৩৪) গ্রেফতার করে।
ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মহড়ায় থাকা সবার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। প্রধান আসামি আফতাবসহ বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
শেয়ার করুন