শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে অবৈধ প্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে দীর্ঘ এক মাস ছয় দিন কারাভোগ শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন ৩১ জন ভারতীয় জেলে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) আদালত এসব জেলেদের মুক্তির আদেশ দেন। পরে সকালে বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে এসব জেলেদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বাগেরহাট জেলা সুপার এসএম কামরুল হুদা এবং বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোহান সরকার এর উপস্থিতিতে মুক্তি পাওয়া ভারতীয় জেলেদের খুলনাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি প্রভাত মুন্দা’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে সড়ক পথে পুলিশ প্রহরায় তাদের মোংলায় নেওয়া হয়। মোংলা ফেরিঘাট এলাকায় থাকা ২টি ট্রলার নিয়ে বিকেলে ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনার উদ্দেশে রওনা হবেন তারা।
জেল থেকে মুক্ত হওয়া ভারতের চব্বিশ পরগনার জেলার কাগদ্বীপ থানার বাসিন্দা
অশোক বর্মা (৪৫) ও নীল চন্দ্র দাশ (৫০) বলেন, আমরা ভারতীয় জেলে, বাংলাদেশে মাছ ধরতে এসে ধরা পড়েছি। জেলের মধ্যে নিরাপদেই ছিলাম, তবে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, এখন বাড়ী যাব’।
দুপুরের পর ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলায় রওনা হন তারা। মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মনিরুল আরও বলেন, গত ৩১ আগষ্ট অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করার সময় কোস্টগার্ডের জাহাজ মনসুর আলী তাদের আটক করেন। এসময় বিপুল পরিমান সামুদ্রিক মাছসহ ‘এফ বি মা মঙ্গলচন্ডী-১ এবং মঙ্গলচন্ডী-৩’ নামে দুটি ফিশিং বোটও আটক করে তারা। পরে ১ সেপ্টম্বর মোংলা কোস্টগার্ড তাদের নামে মোংলা থানায় মামলা করেন। এরপর ২ সেম্পম্বর তাদের বাগেরহাট জেলহাজকে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া এসব ভারতীয় জেলেরা এক মাস ছয়দিন জেলহাজতে থাকার পর শনিবার (৮ অক্টোবর) জামিনে মুক্ত হন বলেও জানান ওসি মনিরুল।
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় গত বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ডের জাহাজ বিসিজিএস মনসুর আলী সমুদ্রের পশ্চিম আইএমবিএল থেকে ৭৭ নটিক্যাল মাইল অদূরে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জেলেদের ব্যবহৃত ট্রলার এফভি মঙ্গল চান্দী-২৫, এফভি মঙ্গল চান্দী-৩ এবং তাতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটক ভারতীয় জেলেদের কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মোংলা সদর দপ্তরে আনা হয়। এরপর আটক ওই ৩১ জেলেকে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগোনা জেলার কাকদ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে তিন মাস চারদিন কারাভোগের পর গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) একই ঘটনায়
জামিনে মুক্ত হন ১৩৫ ভারতীয় জেলে।