সরকার বিনাবিচারে কোনো লোককে হত্যা করে না : সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন- বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে হইচই শুরু করে দেয়। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে। 

শনিবার (৮ অক্টোবর) সিলেট সদর উপজেলার সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন- সরকার চায় না, দেশে কোনো লোক খুন-গুম হোক। সব দেশেই খুন-গুমের ঘটনা ঘটে, এর জন্য সরকার দায়ী না। বরং যারা খুন-গুমের ঘটনা ঘটায় তাদের শাস্তি দিতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট থাকে।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪র্থ তলার বিদ্যমান ফ্যাসিলিটিজ ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এসময় তিনি বলেন- সিলেটের মানুষ বিদেশমুখী। শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। ওদিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। যদি শিক্ষাগ্রহণ করে বিদেশে যান তাহলে আমদের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। তাই আমরা সবাই মিলে শিক্ষাক্ষেত্রে নজর দিতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। নিরক্ষরমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সুশিক্ষিত নাগরিক প্রয়োজন। সুশিক্ষিত নাগরিক গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা গুলোতে নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাসহ দেশের অগ্রগতিই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। আমরা এখনো সিলেটে শিক্ষায় পিছিয়ে আছি, তাই আমরা সবাই মিলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। সিলেটের মানুষ বিদেশ মুখী, যদি শিক্ষা গ্রহন করে বিদেশে যান তাহলে আমদের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে।

আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন খান, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহেবের বাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. ইকলাল আহমদ।

সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাছিত ও সেলিম উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক, সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দেবেন্দ্র কুমার সিংহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন-অর রশিদ, গভর্নিং বডির সদস্য মো. আরব আলী, আব্দুস শহীদ, সমছুল আবেদীন, রফিক মিয়া, দিলারা বেগম, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান, রিপন চন্দ্র সাহা, সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য আব্দুল হান্নান, আব্দুল আলীম, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তৈয়বুর রহমান, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরন মাহমুদ, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম এ মালিক ইমন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক, সহসাধারণ সম্পাদক ডা. জালাল আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা স্পোর্টস একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. অলিউর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম তারা মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনছার আলী, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী, প্রভাষক আব্দুল মুক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম, সাহেবের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান, সিলেট সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসাইন, এমরান আলী তালুকদার, আব্দুস সালাম, জসিম উদ্দিন, আশরাফ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ, কনু মিয়া ফারুক,  স্বেচ্ছাসেবক লীগ খাদিমনগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকলীগ নেতা সাহেদ আহমদ, আব্দুল খালিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা শামছুর রহমান, গীতাপাঠ করেন নিরঞ্জন দাশ। মানপত্র পাঠ করেন দশম শ্রেণির ছাত্রী রুকসানা বেগম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *