ক্বুরবানী (পর্ব) ০২ঃ
কুরবানী ক্ববুলের পুর্ব শর্ত হচ্ছে “তাক্বওয়া বা খোদাভীতি ” নিশ্চয় আল্লাহ পাক কেবলমাএ মুত্তাকীদের কুরবানী ক্ববুল করেন। (সুরা মায়েদাহ – ২৭)
একটি বিষয় অপ্রিয় হলেও কুরবানী দাতার জন্য অবশ্যই লক্ষণীয় এবং মনে রাখতে হবে যে, কুরবানীর পরিপুর্ণ সাওয়াব পেতে হলে প্রয়োজন ঐ আবেগ- অনভূতি,প্রেম- ভালোবাসা ও ঐকান্তিকতা যে আবেগ-অনুভূতি, প্রেম- ভালোবাসা নিয়ে আমাদের জাতির পিতা সায়্যিদিনা হযরত ইবরাহীম (আঃ) শতবছর বয়সে প্রাপ্ত, অনেক আরাধনার ধন, একমাএ সন্তান হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের নিমিত্তে কুরবানী করার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেছিলেন।
স্মরণ রাখতে হবে যে,কেবল গাবতলী কিংবা সিলেটের কাজির বাজারের সবচেয়ে মোটাতাজা বিছাল কুরবানী দিলেই সাওয়াব পেয়ে যাবো এরকম ধারনা পোষন অজ্ঞ তা বৈ কিছু নয়।
কারন কেবল গোশতেরর ছড়াছড়ি ও রক্ত প্রবাহিত করার নাম কুরবানী নয় বরং আল্লাহর রাহে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়ার দ্বীপ্ত শপথের নাম “ক্বুরবানী ”
আল্লাহ বলেনঃ ( আল্লাহ তায়ালার কাছে কখনো (কোরবানীর)গোশত ও রক্ত পৌছায়না। বরং তারঁ কাছে তোমাদের তাক্বওয়াটুকুই পৌছায়।; (সুরা আল হাজ্জ ৩৭)
মহান আরশে আজীমের মালিকের কায়মনোবাক্যে ফরীয়াদ, তিনি যেন আমাদেরকে সহীহ নিয়্যাতে কুরবানী করার তাওফীক্ব দান করেন।