কুলাউড়া- ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর সড়ক : খানাখন্দে যান চলাচলে দুর্ভোগ চরমে

মৌলভীবাজার

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার- কমলগঞ্জের শমসেরনগর সড়কের ৩টি অংশের প্রায় ৬৫০ মিটার পিচঢালাই তুলে নতুন পাথর-বালুদিয়ে রাখা হয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে। বৃষ্টিতে সড়কের ওই অংশগুলোতে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে ।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) মৌলভীবাজার কার্যালয় ও উক্ত কাজের কার্যাদেশের তথ্যমতে, কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার হতে শমসেরনগর হয়ে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত সড়কের ভাঙ্গা অংশের সংস্কার কাজের প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার মিটার আরসিসি ঢালাই ও ১৪শ মিটার বিটুমিনাস দিয়ে কাজ করা হবে। এছাড়াও ১৩ টি কালভার্ট ও একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এ কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব পায় জামিল ইকবাল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ডিসম্বরে কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাজর-শমসেরনগর সড়কের কুলাউড়া অংশের টিলাগাঁও বাংলাটিলা এলাকার প্রায় ২শ মিটার, বাঘেরটিকি এলাকার ৩শ মিটার ও হাজীপুরের কুনিমোড়া এলাকার ১৫০ মিটার রাস্তার পুরাতন পিচঢালাই তুলে নতুন করে বালু-মাটি-পাথর দিয়ে রাখার হয়। এরপর এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ভারী যানবাহন ও পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রায়ই দেবে যেতো। এ জন্য এ সড়কে যোগযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটতো। চলতি বর্ষায় ওই অংশগুলোতে বালু-পাথর ওঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও হাজীপুরের কটারকোনা বাজার থেকে প্রায় আধাকিলোমিটার সড়কে ভাঙাচোরা ও বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে জমে থাকা কাঁদা পানিতে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।
এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বাস চালক মাসুক মিয়া ও সিএনজি অটোরিকাশা চালক এনামুল আলম জানান, শুধু সংস্কার কাজ অংশ নয়, পুরো সড়কে গর্ত ও ভাঙাচোরা সড়কে গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। প্রায় গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় এক বছর ধরে সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। ৫-৬ মাস ধরে কোন কাজই হচ্ছেনা। গর্ত ও ভাঙাচোরা সড়কে একদিন গাড়ি চালালে আরেকদিন শরীর অসুস্থ থাকে। বাধ্য হয়ে এ পথে গাড়ি চালাতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী জামিল ইকবালের মোবাইলে শুক্রবার ও শনিবার একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন জানান, কয়েক মাস ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এজন্য সড়কে রোলার করে রাখা পাথর ও বালু ভিজা থাকে। এগুলো পুরোপুরি না শুকালে বিটুমিন প্রয়োগ করা যাবে না। গত কয়েকদিন থেকেও বৃষ্টি হওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। বৃষ্টি থেমে গেলে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *