আজ বুধবার নতুন নগরপিতা বেছে নেবেন নগরবাসী। পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। আগের চারটি নির্বাচনের দুটিতে আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও শেষ দুটিতে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে নেই কামরান ও আরিফ। আজ তাই সিলেটের মেয়র পদে নতুন কেউ নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। আর চলবে বিকেল ৪ টচা পর্যন্ত। এবারই প্রথম সিলেটে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। মোট ১৯০ টি কেন্দ্রের প্রায় ১৩০০ টি ভোটকক্ষে ভোট নেয়া হবে। এসব কক্ষে ১৭ শ-এর অধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গতবছর সিলেট সিটি নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২৭টি ওয়ার্ডে এবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২ এ। আর মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এবার নগরের ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ তাদের সমমনা ও বামদলগুলো। ফলে নির্বাচনে অংশ নেননি বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আর করোনায় প্রয়াত হয়েছেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
সিলেটে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৮ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল হানিফ কুটু, মোশতাক আহমদ রউফ মোস্তফা, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছালাহ উদ্দিন রিমন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুর রহমান। যদিও গত ১২ জুন নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তার সড়ে দাঁড়ানোতে এবার আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রাথী হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। আর পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এর আগে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও মেয়র পদে এই প্রথম নির্বাচন তার।
বুধবার (২১ জুন) ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২ ওয়ার্ডে এই সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন।
শেয়ার করুন