কোম্পানীগঞ্জে কুকুর আতঙ্ক, প্রতিষেধক নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই কুকুরের কামড়ের চিকিৎসা। কুকুরের কামড়ের আতঙ্কের মধ্যে প্রতিষেধকের অভাব দুর্ভাবনায় ফেলে দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাবাসীকে।

যাকে যেখানে পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করেছে কুকুর, সেই নিয়ে আতঙ্কে উপজেলার বাসিন্দারা। কারণ, গত কয়েকদিনে সাবেক ইউপি সদস্য ও নারীসহ অনেকেই কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে, এই সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধকের অভাব।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার তেলিখালে পাগলা কুকুর গবাদিপশুসহ ৬ জনকে কামড় দেয়। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশি আতঙ্কে রয়েছে শিশুরা।

স্কুলের সামনে দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তেলিখালের বাবুল মিয়া (৩৭), তেরা মিয়া (৪৩), আব্দুল কাদির (৫৫), শুকুরন নেছা (৬০) ও শাহনুর মিয়া (৪০)। হঠাৎ পিছন থেকে ছুটে গিয়ে একে একে তাদের পায়ে কামড় বসায় একটি কুকুর। তারা বলেন, পাগলা কুকুরে কামড় দেওয়ার পর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ইঞ্জেকশনই নেই! কী করব এ বার? ডাক্তাররা বলেছেন, সিলেটে গিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য, কিন্তু আমাদের তো সামর্থ নেই, চিকিৎসা খরচ কীভাবে বহন করব? যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবাটি পেতাম তবে উপকৃত হতাম।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক ইউপি সদস্য শাব্বির আহমদ বলেন, কুকুরের আক্রমণে আমিসহ আমাদের গ্রামের ৬ জন আহত হয়েছেন। একটি গরু আহত হয়েছে৷ তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেলেও কোনো প্রতিষেধক মেলেনি।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান রাসেল জানান, প্রতিবছর এই সময়ে কুকুর পাগল হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতিষেধক বরাদ্দ দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রতিষেধক নেই, সদর হাসপাতালে গিয়ে এই প্রতিষেধক ফ্রি দিতে পারবে। তবে এই প্রতিষেধক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনারও সুযোগ তেমন নেই। তবে আমি চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *