ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন কানাইঘাট থানা পুলিশকে ধন্যবাদ

সিলেট

 

সিলেটের কানাইঘাটে নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে রুহেল আহমেদ রেকেল নামের একজনকে আটকের পর হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। হত্যার দায় স্বীকার করে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

রুহেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নাজিম উদ্দিন ও রুহেল আহমেদ রেকেল পরস্পরের বন্ধু। মাঝেমধ্যে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে যৌনকর্মী এনে কানাইঘাটে ব্যবসা করতেন। ঈদুল আজহার পরে রুহেলকে যৌনকর্মী এনে দিতে বলেন নাজিম। তবে রুহেল আনতে পারেননি।

যৌনকর্মী না পেয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) নিজের স্ত্রীকে নিয়ে আসতে বলেন নাজিম। এ কথা বলার পর এশার নামাজের ঠিক পরে নদীর পাড়ে এসে দুজনে ধূমপান করেন। এ সময় ফের রুহেলকে তার তার স্ত্রীকে আনার কথা জিজ্ঞাসা করেন নাজিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগে থেকেই লুকিয়ে রাখা মুগুর দিয়ে নাজিমের মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন রুহেল। এতে ঘটনাস্থলেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পরে নাজিমের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্টফোন নিয়ে চলে যান রুহেল।

১৩ জুলাই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত খালাইউরা এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানাপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এ সময় মরদেহটি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে মরদেহটি উপজেলার নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিনের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *