রাসেল আহমদ,(গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি)::
গোলাপগঞ্জে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতারনাপূর্বক সম্পত্তি আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধের মামলায় জামিন নিতে গিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি নিরেশ বিশ্বাস গ্রেপ্তার হয়েছেন।গ্রেপ্তারের পর আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন,সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোটারগাও গ্রামের মৃত সনাতন বিশ্বাসের ছেলে নিরেশ বিশ্বাস (৫৫)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জজকোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৫ম) আসমা জাহানের আদালতে জামিন নিতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট ওই আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত ২০১৮ সালে আসামি নিরেশ বিশ্বাস একই এলাকার বাসিন্দা খাটখাই গ্রামের লুদু মিয়ার ছেলে এনামুল হকের (বাদী) নিকট থেকে বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৪,৫০,০০০/- টাকা গ্রহণ করে।এরপর গত ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী আসামি নিরেশ বিশ্বাস বাদীর চুক্তি অনুযায়ী অংশীদারত্ব ও টাকা গ্রহনের বিষয় অস্বীকার করেন। এনামুল হক বাদী হয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণপত্রসহ ২৩শে ফেব্রুয়ারী গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ২রা মার্চ মামলাটি এফ.আই.আর করেন(যার মামলা নং-৫৯/২০২১)।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঐ বছরে মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করে।বাদী থানা পুলিশের রিপোর্ট মিথ্যা ও নারাজি প্রকাশ করলে আদালত সিলেট সিআইডি বিভাগকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেন। সিলেট সিআইডি বিভাগ চলতি ২০২৩ সালের মে মাসে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।আদালত সিআইডি বিভাগের রিপোর্ট থেকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামের অধিকাংশ লোকই জানান, মামলার আসামি নিরেশ বিশ্বাস খুবই খারাপ,জুলুমবাজ ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক।সে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার একটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে যা দিয়ে অনেক লোকেদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তার বিরুদ্ধে গ্রামে ও থানায় অনেক সন্ত্রাসী ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। গত বছর একটি রাষ্ট্রীয় মামলায় কারাগারে ছিল বেশ কয়েকদিন।বর্তমানে কয়েকটি মামলা চলমান ও বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী এনামুল হক বলেন,আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে থেকেই দীর্ঘদিন সে পলাতক ছিল।দীর্ঘদিন পর মামলার আসামিকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এটা আমার কাছে আনন্দের।আমি কারাগারকে মনে করি সংশোধনাগার,যেখান খারাপ লোক ভালো হয়ে ফিরে আসবে। আমি সর্বাত্মক বিচার চাই, আমি অংশীদারত্ব চাই।আইন অনুযায়ী পরবর্তীতে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার আমরা সেই অপেক্ষায় থাকবো।
শেয়ার করুন