জানুয়ারী জুড়ে থাকছে শীতের তীব্রতা

সিলেট

পুরো জানুয়ারি জুড়েই শীত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি তারা আরও জানায়, আগামী দুই-তিনদিন উপকূলসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশে থাকতে পারে মেঘ। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং শীত সামান্য কমতে পারে। এরই মধ্যে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে মেঘ ও বৃষ্টি আসতে শুরু করেছে। যার উৎসস্থল- বঙ্গোপসাগর।

এছাড়া খুলনা ও বরিশালের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার দেশের কোনো কোনো এলাকায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এতে শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমবে না।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো কোনো এলাকায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমবে না।’

আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার ঢাকা ও খুলনাসহ কয়েকটি অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সিলেট-ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল কুয়াশা ঢাকা ছিল। বুধবার সিলেটের সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।জানা গেছে, বুধবার ভোর থেকেই প্রচণ্ড কুয়াশায় ছেয়ে যায় পুরো সিলেট শহর। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে পথ দেখাচ্ছে হেডলাইট। তবে কুয়াশা থাকলেও সিলেটে শীতের তীব্রতা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম অনুভূত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা, কুমিল্লা জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা থাকবে। তাতে কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।

পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে সকাল ১০টা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *