জাহাজের ধাক্কায় যানবাহনসহ মাঝ নদীতে ভেঙে পড়ল সেতু

বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে জাহাজের ধাক্কায় মাঝ নদীতে ভেঙে পড়েছে একটি সেতু।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে প্যাটাপসকো নদীর ওপর অবস্থিত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ নামের সেতুটিতে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এ সময় সেতুটি দিয়ে পারাপাররত বেশ কয়েকটি যানবাহন পড়ে যায় মাঝ নদীতে। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা জানা না গেলেও ঘটনাটিকে ‘উন্নয়নশীল গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

 

বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর চিফ কেভিন কার্টরাইটের বরাত দিয়ে বিবিসি ও স্কাই নিউজসহ মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ফুটেজও প্রকাশ পেয়েছে ইতোমধ্যে।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ১.৬ মাইল দীর্ঘ ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুটির একটি বড় অংশ স্থানীয় সময় দেড়টায় সংঘর্ষের পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে নদীতে। এ সময় সেতু থেকে এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি যানবাহনও পড়ে যেতে দেখা যায়।

বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর চিফ কেভিন কার্টরাইট বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিখোঁজ লোকদের উদ্ধার করা।১০টি নৌযান উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ঘটনাস্থলে।

 

তিনি বলেন, কতজন মানুষ পানিতে পড়ে গেছে সে সম্পর্কে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি

 

এদিকে ম্যারিল্যান্ড ট্রান্সপোস্ট কর্তৃপক্ষ তাদের এক এক্স পোস্টে জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই সেতুটির উভয় দিকের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলও। প্যাটাপসকো নদীর সব ধরনের জাহাজ, স্টিমার ও নৌকাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যপথে।

 

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বাল্টিমোর শহরের মেয়র ব্রেন্ডন এম স্কট। দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।

 

জানা গেছে, দালি নামে পরিচিত সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজটি বাল্টিমোর বন্দর হয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে যাচ্ছিলো। কিন্তু পথিমধ্যে সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সেখানেই আটকে গেছে জাহাজটি।

 

দুর্ঘটনা কবলিত ১.৬ মাইল দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। ন্যাশনাল স্টিল ব্রিজ অ্যালায়েন্স অনুসারে, বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস ব্রিজগুলোর মধ্যে একটি এটি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *