জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫২৪ জন

জাতীয়

জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫২৪ জন। এর মধ্যে ২০৪ জন নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ৭৩ জন শিশু ও ৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আজ সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ১১৭টি। এসব দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবেও ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশের সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৬৭টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫২৪ জন এবং আহত ৮২১ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৮ জন ও শিশু ৭৩ জন। ১৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন যা মোট নিহতের ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৬ জন বা ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এ সময়ে ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৬ জন আহত হয়েছেন ও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;

২. বেপরোয়া গতি;

৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;

৪. বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা;

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;

৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;

৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;

৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;

৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;

১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ এবং চালকের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *