জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির: বাকী কেবল আনুষ্ঠানিকতা

সিলেট

সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগুলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রতীক বরাদ্দ। সেদিনই তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হতে পারে। মানে, নাসির খান চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসতে কেবল আনুষ্ঠানিকতাটুকুেই বাকী।

রোববার ( ১৮ সেপ্টেম্বর ) মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে তাকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান এই প্রথম যেকোন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন। সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী তিনি।

এবারের নির্বাচনে এই পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আরও একাধিক নেতার নাম বেশ শোনা যাচ্ছিল। দলীয় মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে সফল হয়েছেন কেবল নাসির খান। আওয়ামী লীগের নির্বাচন বোর্ড সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে তাকেই মনোনীত করে।

গত নির্বাচনে এ পদে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত এনামুল হক সর্দারকে নিয়ে আশঙ্কা ছিল। এবারও তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সিলেটের একজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্যের তৎপরতায় এ খাঁড়া থেকেও মুক্তি পান নাসির খান। শেষ পর্যন্ত সর্দার আর মনোনয়নপত্র জমাই দেন নি। এ অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাসির খান নির্বাচিত হচ্ছেন বলে সবাই ধরে নিয়েছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত অনুরাগী এবং দলীয় নেতাকর্মীরাও তাকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন।

তবে নাসির উদ্দিন খানের কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না থাকলেও কিছু  আইনী প্রক্রিয়া বাকী থাকায় তাকে সরাসরি নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা যাচ্ছেনা এখনই। সেই প্রক্রিয়া বা ধাপগুলোর একটি অতিক্রম হলো রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হলো।

এখন বাকী গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ধাপ। সেটি হলো প্রার্থীতা প্রত্যাহার। ২৬ সেপ্টেম্বর এ প্রক্রিয়া শেষেই তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করার খুবই সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *