মোঃসরওয়ার হোসেন,গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি ::
আল্লাহ তার অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে মানব জাতীকে আশরাফুল মাখলুক বানিয়েছেন, চিনিয়েছেন বটে, কিন্তু সকলে নিজেকে আশরাফ বা সম্মানিত করে গড়ে তুলতে পারেনি।যারা নিজেকে গড়িয়েছেন, সাজিয়েছেন, সমাজ জাতীকে সাজাতে পেরেছেন, তাদের মধ্যে হাফিজ মৌলানা আব্দুল কাইয়ূম সাহেব অন্যতম।
১৯৯০ সালে আলিম ১ম বর্ষে ফুলবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসায় প্রথম পরিচয়।ভাদেশ্বর আলিয়া মাদ্রাসা হতে যেকজন ফুলবাড়ীতে ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের চলন বচনে শিক্ষকবৃন্দ ছিলেন সন্তুষ্ট।স্বল্পভাষী ভাবগম্ভীরতার জন্য হাফিজ কাইয়ূম সাহেব ও প্রাণবন্ত ও সুমিষ্ট হিসেবে কাজী শামীম আহমদ সাহেব শিক্ষকদের সুদৃষ্টি অর্জনে হয়েছিলেন সক্ষম।হঠাৎ তারা পূর্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আবদারে রক্ষার্থে চলে গেলে আমাদের তখনকার ভাইস প্রিনসিপাল (শেখছাব হুজুর) আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, ছোলেগুলো ছিল বড়ই “মুআদদিব”।
শিক্ষকদের প্রতি আনুগত্য ছিল হাফিজ সাহেবের অনন্য বৈশিষ্ট।তাঁর সহপাঠিদের অনেকেই বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্যে কর্মরত।কালামে পাকের আকর্ষণে তিনি পড়ে থাকলেন একটি হাফিজী মাদ্রাসায়।কোরআনের পাখিদের কলরবে রাত পেহাত।মধ্যরাত অবধি চলতো নির্ঘুম খেদমত। সে প্রতিষ্ঠানের পরতে পরতে রয়েছে তাঁর নিশ্বাস।প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকার কার্য সম্পাদন হয়েছে তাঁর মোবারক হস্তে।ছিল আমানতদারীর সর্বোচ্চ সতর্কতা।প্রতিষ্ঠানটি আজ পরিনত হয়েছে একটি মহীরুহে।দেশ জাতীকে উপহার দিয়েছে হাফিজ, কারী, আলেম উলামা সহ অসংখ্য সোনার মানুষ।তিনি ছিলেন বাহিরে ভিতরে সাদা মনের এক ব্যতিক্রমী মানুষ।সুন্নীয়তের এক আপোষহীন ব্যক্তিত্ব। একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ।
আজ মৌলানা আব্দুল কাইয়ূম সাহেব চলেগেছেন সব ছেড়ে।পরিবার,পরিজন, ছাত্র-শিক্ষক, সুধীজন শোকাহত,মর্মাহত।সকলেই আশাবাদী দয়াময় করবেন তাঁকে দয়া, মায়া।তাঁর কর্মই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
হে মাবুদ!এ সোনার মানুষটির জন্য জান্নাতে এমন একটি স্থানের আবাসন কবুল কর, যেখানে কোরআনের বুলবুলীদের বিচরণে থাকে মুখরিত।
اللهم اغفر له وارحمه وادخله الجنة آمين يارب العالمين
লেখক:: মুহাম্মদ ছুন্নাতুর রহমান
মদীনা মসজিদ,নিউইয়র্ক।
শেয়ার করুন