তাহলে কেন এই এক টমেটো ফ্লু নিয়ে এত মাতামাতি অথবা এই লেখাটিরই বা অবতারণা কেন?
অনেকেই মনে করেন, টমেটো ফ্লু চিকুনগুনিয়ার একটি ভ্যারিয়েন্ট। তেমনি আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আছেন, যাদের ধারণা এর সাথে যোগাযোগ আছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সিনড্রোমের।
তবে যাই হোক আর নাই হোক, জ্বরের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা ইদানীং যখন মাঝেসাঝেই করোনা আর ডেঙ্গুর মাঝে গুলিয়ে ফেলছি, তখন বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো নতুন এই টমেটো ফ্লু পরিস্থিতি জটিল বৈ সহজ করবে না। আর তারচেয়েও যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, করোনা নিয়ে চলতে গিয়ে আমরা খুব ভালো মতো জেনে গেছি ভাইরাসের কোনো ধর্ম নেই।
যেকোনো সময় চোখ উল্টাতে পারে যেকোনো ভাইরাস। মিউটেশন হয়ে আবির্ভাব হতে পারে নতুন-নতুন আর আগ্রাসী যত ভ্যারিয়েন্ট।
২০২১ সালে বছর যেমন ডেল্টার অবয়বে আমরা দেখেছিলাম করোনার সংহারী রূপ। কাজেই আপাতত যে টমেটো ফ্লু তেমন বড় কোনো ঝামেলা করছে না, সেই টমেটো ফ্লুই যে সামনে কোনো খারাপ ভ্যারিয়েন্টের জন্ম দেবে না, তা কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কাজেই আমাদের টমেটো ফ্লু সম্পর্কে জানতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে।
(লেখাটি লিখতে সহযোগিতা করেছেন ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, রিসার্চার, এহিমি ইউনিভার্সিটি, জাপান)
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ।। ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
শেয়ার করুন