ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া এখন থেকে আর কোনো মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেবে না বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নতুন এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস। মঙ্গলবার এ সম্পর্কিত নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার সময় গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা এখন থেকে নিশ্চিত করতে হবে। গত ১৪ জুন বিআরটিএর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার বিষয়টি রেজিস্টারিং অথরিটির নিশ্চিত করতে হবে।’
সম্প্রতি বিআরটিএ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘সড়ক নিরাপত্তাকল্পে মোটরসাইকেল বিক্রয়ের সময় ক্রেতার নূন্যতম শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না তা বিক্রেতাকে নিশ্চিত করতে হবে।’
মোটরসাইকেলের ক্রেতা কোনো প্রতিষ্ঠান হলে ওই প্রতিষ্ঠানের যিনি ব্যবহারকারী, তার নামে বরাদ্দপত্র এবং শিক্ষানবিশ লাইসেন্স থাকতে হবে। কেবল তখনই ওই কোম্পানির কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি বা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
একটি ফরম পূরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করলেই শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। এই শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ব্যবহার করে যে কেউ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য দুই-তিন মাস সময় দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে নির্ধারিত তারিখ, সময় ও নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সঙ্গে ফিল্ড টেস্টে অংশ নিতে হয়। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই পাওয়া যায় ড্রাইভিং লাইসেন্স।
শেয়ার করুন