ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা। ঢাবির ৪টি অনুষদে এবার প্রায় তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(শাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল পরিবহণ দপ্তর।
শনিবার (৬ই মে) বেলা ১১টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের ৫টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলে।
এদিকে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন ‘এ’র কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাস থেকে সিলেট শহরের ৯ টি স্থানে সকাল থেকেই ১৫ টি বাস শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ায় নিয়োজিত ছিল। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রস্তুত ছিল আরও কয়েকটি বাস।
সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী হাজেরা আক্তার বলেন, শহর থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছি বিশ্ববিদ্যালয় বাসে। এখন আবার যাবো বাসে। বাসের এমন ব্যবস্থার আয়োজন দেখে ভাল লাগছে। এতে সব পরীক্ষার্থীর বিশেষ সুবিধা হয়েছে বলে আশা রাখছি।
এদিকে, পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল বলে পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আমাদের ক্যাম্পাসে পূর্বের কোনো পরীক্ষাতেও কোনো প্রকার জালিয়াতি করতে পারে নি কেউ। আজকেও সুষ্ঠুভাবে সবকটি কেন্দ্রে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরিবহন, মেডিকেল সহ আনুষঙ্গিক সেবা দিতে সব সময় সচেষ্ট ছিল দপ্তরগুলো।
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আজকে আমাদের পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশনা ছিল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরিবহন সেবা দিতে। আমরা বাস ও মিনিবাস মিলিয়ে ১৫টি ট্রিপ চালু রেখেছি। এরপরেও যদি প্রয়োজন হত তাহলে জরুরী সেবা প্রদানে আরও কয়েকটি বাস প্রস্তুত রেখেছিলাম।
এদিকে জ্বালানী সাশ্রয়ে নির্দেশনা থাকলেও ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমরা পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা বিবেচনায় বাস ট্রিপ রেখেছি যেন তাঁদের অসুবিধা না হয়। কোনো পরীক্ষার্থী যেন পরিবহন সমস্যায় না পড়ে সেদিকে আমাদের কড়া নজরদারি ছিল বেশি।
তিনি আরও বলেন, বাস যখন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে তখন আমরা নিজেরা উপস্থিত থেকে সুশৃঙ্খলভাবে তাঁদের কেন্দ্রের অভিমুখে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। ঠিক একইভাবে পরীক্ষা শেষেও আমরা আবার পরীক্ষার্থীদের বাসে তুলে দিয়েছি। আমাদের চালকগন যত্নের সাথেই পরীক্ষার্থীদের শহরের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের এই ধারা সব পরীক্ষাতেই অব্যাহত থাকবে বলে আশাকরি।
শেয়ার করুন