দিরাইয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জ

দিরাই(সুনামগঞ্জ)রিপোর্টারঃ

পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবার দাবিতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিরাই পৌর শহরের একটি কনফারেন্স হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, দিরাই পৌরসভার ভরারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর এর দুই ছেলে আব্দুর রব ও আব্দুস সালাম। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০০৪ ইং সনে আমাদের পিতা মারা যান। পিতার রেখে যাওয়া বিপুল ফসলি জমি, বসত বাড়ি ও দোকান কোঠা উত্তরাধিকারসূত্রে মালিক আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোন। গত ২০বছর ধরে পিতৃসম্পত্তির প্রাপ্য অংশ আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে আমাদেরই বড় ভাই আব্দুর রকিব ও ৩নং ভাই আব্দুল অজুদ সম্পত্তি নিজেদের অবৈধ দখলে রেখে ভোগ করছে। সম্পত্তির ভাটোয়ারানামা করার দাবী করলেই মারধর করে। আব্দুর রব বলেন, ভরারগাঁও, চিতলিয়া ও মজলিশপুর মৌজায় আমার পিতার প্রায় ৭০ কেদার জমি আছে। বসত বাড়ি ছাড়াও দুইটি পতিত বাড়ি, স্থানীয় চকবাজারে একটি দোকান কোঠা রয়েছে। আমার প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে ২০ বছর ধরে সবকিছু আমার বড়ভাই আব্দুর রকিব ভোগদখল করছেন। আমি দিনমজুরি করে স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছি। নিজের ও বাচ্চাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে কয়েক লাখ টাকা দেনা করেছি। দেনার চাপে ঘরে থাকতে পারিনা। টাকার অভাবে বাচ্চাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্বিসহ জীবনযাপন করছি। একই অভিযোগ এনে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আমার পিতা অন্তত ৫০/৬০ লাখ টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন। সবকিছু বড়ভাই আব্দুর রকিবের দখলে। গত ২০ বছরে জমি ও দোকান থেকে অর্জিত আয়ের একটি টাকাও আমাকে দেননি। সামান্য বেতনে স্ত্রী ও ২সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে সরজমিন ভরারগাঁও গ্রামে গেলে সালিশি আরিফ উল্লা, হাবিবুর রহমান, আলমগীর হোসেনসহ একাধিক গ্রামবাসী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুর রকিব তার ভাইদের সম্পত্তির ভাটোয়ারানামা করে দিচ্ছেন না। কয়েক দফা পঞ্চায়েত হয়েছে। কিন্তু সমাধান করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। অভিযুক্ত আব্দুর রকিব বলেন, টাকার সমস্যার কারণে ভাটোয়ারানামা করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কিছু জমি যৌথভাবে বন্ধক দেয়া আছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুস সাত্তার বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসার জন্য নেয়া হয়। মিমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *