দেশে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৭৮ জনের মৃত্যু

জাতীয়

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ‌্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত ঠান্ডাজনিত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের হিসাব মতে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত এই তথ্য পাওয়া গেছে। ঠান্ডায় বিভিন্ন রোগে মৃত্যু রোগীর অধিকাংশই শিশু।

অধিদপ্তরের হিসেবে, সারা দেশে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ১৯৮ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তিন লাখ ৪১ হাজার ৪৫৫ জন।

এদিকে, শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত তিন মাসে শুধু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮৪ জন। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে ৩০৮ জন, নভেম্বরে ৩১৩ জন, ডিসেম্বরে ৪৩৭ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রোগী সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে আরও ৪০ জনের মতো। চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতমাসে শিশু হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীর এক চতুর্থাংশ ছিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু।

বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক প্রফেসর তাহমিনা বেগম বলেন, বাংলাদেশে শীতের সময় সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি বাড়ে। এসব রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে শিশু ও বয়ষ্কদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। শীত এড়িয়ে চলতে হবে। ঠাণ্ডার সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়সা শাহরীন বলেন, সারা বছরই এই হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগী থাকে। তবে শীতের সময়টাতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে শুধু যে নিউমোনিয়া বেড়ে যায় তা নয়, ব্রংকিওলাইটিস নামে আরেকটা রোগ আছে, সেটিও বেড়ে যায়, যার কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাছাড়া, এই সময়টাতে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যাও বাড়ে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *