দোয়ারাবাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে হামলার ঘটনায় মামলা আটক ১

সুনামগঞ্জ

দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে একটি বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এই সময় বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছে তারা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর )দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মান্নারগাও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় রবিবার(৩ সেপ্টেম্বর )রাতে দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান রিপন।তিনি উপজেলার মান্নারগাও ইউনিয়নের জালাল পুর গ্রামের মৃত আব্দুস সহিদের পুত্র।

মামলায় এলাকার মৃত সিরাজ মিয়া ওরফে শিরা মিয়ার পুত্র মোঃ মতিবুর রহমান(৪৮),মৃত আমরু মিয়ার পুত্র মকদ্দুছ আলী(৪৫),মজিবুর রহমানের পুত্র মো:তারেক মিয়া (২২) অজ্ঞাত আরও ২জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে মামলার প্রধান আসামি মৃত সিরাজ মিয়া ওরফে শিরা মিয়ার পুত্র মোঃ মতিবুর রহমান(৪৮)কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী ও অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, মোস্তাফিজুর রহমান রিপনের পিতা অনুমান ০৭ (সাত) পূর্বে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তারা ২ ভাই ও ১ বোন। দুই ভাই বিভিন্ন দোকানে চাকুরী করে মা ও বোনকে ভরন পোষন করেন।কাজের সুবাদে দুই ভাই বাড়িতে থাকেন না। বিবাদীদের সাথে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলতেছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদী মতিবুর, মকন্দছ ও তারেক মিয়াসহ অজ্ঞাত ১/২জন শনিবার রাতের আধারে ক্ষতি সাধন ও প্রাণে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর বসত ঘরের পিছনের দরজা খুলে ঘরের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে আমার মা এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।বিবাদী মতিবুর রহমানে হাতে থাকা না দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মা রিপা বেগম এর কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মায়ের কপালের মধ্যখানে পড়িয়া গুরুতুর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমার মা রিপা বেগম মাটিতে পড়িয়া গেলে বিবাদী মকন্দছ আলী, তারেক মিয়া ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার মাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদী মকদ্দছ আলী মায়ের বেড রুমের বালিশে নিচ হইতে নগদ ৪,৫০০/- (চার হাজার পাঁশত) টাকা নিয়ে যায়। বিবাদী তাকে মিয়া আমার মায়ের হাতে থাকা সিমাপনী বটম ওয়ালা মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। যাহার মূল্য অনুমান ১,৩০০/- (এক হাজার তিনশত) টাকা। আমার মায়ের শোর চিৎকার শুনিয়া আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার প্রাণ নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আমাদের বসত ঘর হইতে দৌড়াইয়া চলে যায়। আমার প্রতিবেশী লোকজন আমার মা রিপা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করিয়া দোয়ারাবাজার উপজেলা হাসপাতলে নিয়ে আসিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক আমার মা রিপা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার মা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:বদরুল হাসান বলেন, হামলার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *