নগরীতে সেহরি ও ইফতারের সময় লোডশেডিং, বিপাকে বাসিন্দারা

সিলেট

রমজান চলমান, সাথে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে প্রায় ছয় সাতবার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এটা কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নয়। সারা সিলেট শহরেই একই অবস্থা। তার ওপর বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি কোনো লোডশেডিং শিডিউল। তাই এই রমজান মাসে গত দুই দিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সিলেট নগরীর বাসিন্দারা।

নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রুবিনা আক্তার রুবি বলেন, ‘গতকাল সেহেরির আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই সময়ও যে বিদ্যুৎ থাকবে না সেটা ভাবিনি। বিদ্যুৎ বন্দের কোনো শিডিউল ও দেওয়া হয়নি। তাই চার্জ লাইটগুলোতেও চার্জ দেওয়া ছিল না। মোমবাতিও ছিল না ঘরে। পরে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে সেহেরি করেছি।

‘আজ (শনিবার) সকালেও ঘুম থেকে ওঠার আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। সারাদিনে প্রায় ছয়বার বিদ্যুৎ ছিল না। ইফতারের সময়ও বিদ্যুৎ ছিল না। এই রোজার সময় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট ও চাহিদা বেড়ে যাওয়া বিদ্যুতের লোড বেড়ে গেছে। গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে।

এব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ‘সিলেটে বর্তমানে ৩০ শতাংশ লোডশেডিং করা হচ্ছে। হঠাৎ অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট করছে তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তার ওপর আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোও বেশ রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। সব মার্কেট শপিংমলই এসি করা। বাসা বাড়িতেও এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে।’

তবে এই লোডশেডিং তিন চার দিনের বেশি স্থায়ী হবে না বলে উল্লেখ করে প্রকৌশলী আব্দুল কাদির আরও বলেন, ‘দুই তিন দিনের মধ্যে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আশাকরি বিদ্যুতের চাহিদা আগের মত হয়ে যাবে। লোডশেডিং সমস্যা থাকবে না। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোডশেডিংয়ের শিডিউল দিয়ে দেব। যেহেতু রমজান মাস তাই অন্তত সেহেরি ও ইফতারের সময় যেন লোডশেডিং না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে লোডশেডিংয়ের শিডিউল করা হবে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *