নবীগঞ্জে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দেয়া উত্তরাধিকার সনদপত্রে স্বজন প্রীতির অভিযোগ

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক:::

নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিলবার স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে উত্তরাধিকার সনদপত্র থেকে নাম বাদ দিয়ে বিধবা স্ত্রীকে স্বামীর ও এতিম কন্যা সন্তানকে পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বাউর কাপন গ্রামের মৃত মরম উল্লার পুত্র মৃত রইছ উদ্দিন বিগত প্রায় ১০/১১ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে ওয়ারিশান রেখে যান। তারা হলেন স্ত্রী নেহার বেগম,ছেলে যথাক্রমে মো: ওয়ারিশ উদ্দিন,মো: তৌরিছ উদ্দিন,মো: জসিম উদ্দিন, মো: আলিম উদ্দিন,মো: কাছাব উদ্দিন, মেয়ে মোছা: ফুলেছা বেগম ও মোছা: বানেছা বেগম। গত ০৭/০২/২০২২ইং তারিখে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিলবার ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে মেয়েদের ওয়ারিশান সার্টিফিকেট প্রদান করেন। কিন্ত রহশ্যজনক কারনে তারা এক মেয়ে বানেছা বেগমের নাম ওয়ারিশান সার্টিফিকেট থেকে বাদ দেন। যার ফলে ওয়ারিশান সার্টিফিকেটের বলে সম্পূর্ণ সম্পত্তি বানেছা বেগমের অপর ভাই বোন নামজারী করে নেন। ফলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন বানেছা বেগম। যার ভোটার আইডি নং ৩৬০৩৮৫০০০০৩৫ পিতা মৃত রইছ উদ্দিন মাতা নেহার বেগম রয়েছে।

তাছাড়া পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ও মেম্বার ২য় বার আরো একটি ওয়ারিশান সার্টিফিকেট প্রদান করেন। সেই ওয়ারিশান সার্টিফিকেটে পূর্বের ন্যায় বানেছা বেগমের সাথে রইছ উদ্দিন স্ত্রী নেহার বেগমের নামও বাদ দেয়া হয়। চেয়ারম্যান নোমান হোসেন ও মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দিলবার মোটা অংকের বানিজ্যির মাধ্যমে জেনে শুনে সত্য গোপন করে একের পর এক সার্টিফেকট প্রদান করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। যা আইনবহির্ভূত। এ ব্যাপারে বানেছা বেগমের চাচাতো ভাই রিমন আহমেদ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী রিমন মিয়া বলেন দুইটা ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে মনগড়া মতো ওয়ারিশান বাদ দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। তার জনপ্রতিনিধি। কিন্ত ওয়ারিশান সার্টিফিকেটে পিতার সন্তান বা স্ত্রীর নাম বাদ দেয়ার আইনগত অধিকার তাদের নেই। তাদের এমন স্বজন প্রীতির কারনে একটা এতিম মেয়ে বাবার সম্পত্তি ও স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হলো। তিনি প্রশাসনের নিকট বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *