ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের বিরুদ্ধে আনা কর ফাঁকি, প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন স্পেনের আদালত। ফলে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে আর কোনো বাধা থাকল না এ তারকার। খবর, বিবিসির।
২০১৩ সালে স্যান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার সময় নেইমার প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে স্পেনের আদালতে মামলা করেছিল ব্রাজিলের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৫ বছরের জেল হতে পারত। তাতে কাতার বিশ্বকাপে খেলা দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াত পিএসজির এ ফরোয়ার্ডের জন্য।
কিন্তু শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দেয়ায় এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। কর জালিয়াতির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি নন। এই ব্রাজিলিয়ানের চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেইমারের বাবা-মা, বার্সেলোনার সাবেক দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমিউ এবং বার্সেলোনা ও স্যান্তোসের তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর নেইমার স্পেনের আদালতে হাজিরা দেন। শুনানিতে বলেন, তিনি চুক্তির বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। হৃদয়ের ডাক শুনে বার্সায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, বাবা চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তিনি শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
কিন্তু ডিআইএসের দাবি, নেইমারের ইমেজ স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের। ২০০৯ সালে ১৭ বছরের নেইমার যখন স্যান্তোসের উঠতি তারকা তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব কিনে নেয় তারা। কিন্তু নেইমার এখন তা অস্বীকার করায় মামলা ঠুকে দেয় তারা। এ মামলায় নেইমারসহ দোষীদের ৫ বছরের জেল আর ১৪৪ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিআইএসের আইনজীবী পাওলো নাসের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নেইমারকে সর্বোচ্চ দাম হাঁকা ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হয়নি। তাকে এর চেয়েও বেশি দামে কিনতে আগ্রহী ক্লাবও ছিল।
যদিও তাদের এমন দাবি উড়িয়ে দেন নেইমারের আইনজীবী। ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তার পরিবারের হয়ে এ মামলায় লড়াই করেছেন আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি। তার দাবি, সর্বোচ্চ দাম দিতে চাওয়া ক্লাবের কাছেই বিক্রি করতে হবে, এই নিয়ম ফুটবলের দলবদলে খাটে না। কারণ, এখানে খেলোয়াড়ের ইচ্ছা-অনিচ্ছাও জড়িত। খেলোয়াড় কোনো পণ্য নয়। সে একজন ব্যক্তি, নিজ ইচ্ছায় স্বাধীন।
শেয়ার করুন